বশেফমুবিপ্রবি শিক্ষকের গবেষণায় রুই মাছের জীবন রহস্য উন্মোচন
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) ফিশারিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও গবেষণা সেলের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মাহমুদুল হাছানের নেতৃত্বে গবেষণায় যমুনা নদীর রুই মাছের জীবন রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এতথ্য জানানো হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তোফাজ্জল ইসলাম, রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফারুক হোসেন, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক মোজাম্মেল হক, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির বায়োইনফরমেটিক্স বিভাগের প্রধান উজ্জল হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।
সেমিনারে গবেষক ড. মাহমুদুল হাছান জানান, যমুনা নদীর রুই মাছ নিয়ে দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োডায়ভারসিটি ল্যাবসহ জাপান ও ভারতের ল্যাবরেটরিতে গবেষণা কার্যক্রম চালান। গবেষণা ফলাফলে দেখা যায়, দেশের অন্যান্য জায়গায় পাওয়া মাছের তুলনায় যমুনা নদীর রুই মাছের জিনগত ভিন্নতা ও আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
গবেষণায় এ সফলতা রুই মাছের সংরক্ষণ ও উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন মাহমুদুল হাছান। একইসঙ্গে তা এ মাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতেও সহায়ক হবে জানান তিনি।
সেমিনারে জানানো হয়, ভবিষ্যতে বায়োমার্কার ব্যবহার করে সুনির্দিষ্ট জিন শনাক্ত করে রুই মাছের বৃদ্ধি, রং, রোগ-বালাইয়ের জন্য যেসব জিন দায়ী সেগুলোর ওপর কাজ করে রুই মাছের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।
এসময় ফিশারিজ বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ রফিকুল বারীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, হলের প্রভোস্ট, ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এসআর/জিকেএস