শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

ছুটি শেষে চালু হয়নি হলের ডাইনিং, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৪৫ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২৪

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শীতকালীন ছুটি শেষ হয়েছে ৩০ ডিসেম্বর। ২ জানুয়ারির মধ্যে ক্রমাগত শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলে ফিরলেও ছুটি শেষ হওয়ার ৯ দিন অতিবাহিত হলেও চালু হয়নি নজরুল হলের ডাইনিং-ক্যান্টিন।

অন্যদিকে নজরুল হল ও সিরাজউদ্দৌলা হলের ডাইনিং বিজয় দিবসের বিশেষ খাবার প্রস্তুতির পর থেকেই বন্ধ রয়েছে। বিজয় দিবসের পর থেকে অন্যান্য হলের ডাইনিং চললেও তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কিছু হলের ক্যান্টিন খুললেও খাবার নিয়ে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববদ্যিালয়ের কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার আগেই বিনা নোটিশে বন্ধ করে দেওয়া হয় নজরুল হলের ডাইনিং। ঈদ, পূজা প্রত্যেক উৎসবে ছুটি শুরু হওয়ার আগেই হুট করে বন্ধ করে দেওয়া হয় ডাইনিং। অন্যদিকে ছুটি শেষ হওয়ার পরও সঠিক সময়ে খুলে না ডাইনিং। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবগত করলেও কোনো পদক্ষেপই নেয়নি প্রশাসন।

ছুটি শেষে চালু হয়নি হলের ডাইনিং, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলের শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ছুটির শেষেই অধিকাংশ সময়ে সপ্তাহ না পার হলে ডাইনিং খুলে না। বেশিরভাগ সময়ে প্রশাসনকে জানিয়ে ডাইনিং খুলতে অনুরোধ করতে হয়। আবার ছুটি শেষে ক্যান্টিন খুললেও ছাত্র সংখ্যা বেশি থাকায় খাবার পেতে বেগ পেতে হয়। অন্যদিকে ক্যান্টিনের খাবারে বেশি চাপ পড়লে দ্রুত শেষ হয়ে যায় এবং স্বাভাবিক দামের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হয় খাবার।

সরোজমিনে দেখা যায়, নবাব সিরাজউদ্দৌলা হল, কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল, শেরেবাংলা হল, শেখ লুৎফর রহমান হল, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হল, শেখ সায়েরা খাতুন হলের ডাইনিং বন্ধ।

বন্ধের কারণ জানতে চাইলে নবাব হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আজ রাত থেকেই ডাইনিং চালুর নির্দেশ দিয়েছি।’

লুৎফর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আনিসুর রহমান বলেন, ‘নির্দিষ্ট পরিমাণ টোকেন নেওয়ার মতো শিক্ষার্থী না থাকায় ডাইনিং বন্ধ ছিল, শনিবার থেকে খুলবে।’

শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুন নাহার বলেন, ‘মেয়েরা এখনো আসেনি, আমি কথা বলতেছি।’

শেখ সায়েরা খাতুন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রায় খবর নিয়ে দেখেছি শিক্ষার্থীরা ডাইনিং-ক্যান্টিনে খাবার খায় না বা টাকা দিতে সমস্যা করে। তারা অধিকাংশই রুমে রান্না করে।’

বিজয় দিবসের পর থেকে নজরুল হলের ডাইনিং বন্ধ থাকার ব্যাপারে নজরুল হলের ডাইনিং ম্যানেজার জুয়েল হোসেন বলেন, ‘আমাদের সমস্যাগুলো স্যারদের জানিয়েছি। স্যারেরা বলেছে আজই খুলতে হবে।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকেই মিটিং করে শুক্র-শনিবারে সব হলের ডাইনিং খোলার ব্যবস্থা করবো।

তাসনিম আহমেদ তানিম/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।