ইয়াং বাংলার ভলান্টিয়ার লাঞ্ছিত
শেকৃবির ৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ইয়াং বাংলার এক ভলান্টিয়ারকে লাঞ্ছিত ও আহত করার দায়ে ৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত ১৮ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশক্রমে ও ১০০তম সিন্ডিকেট মিটিংয়ে বিবিধ-১ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। স্থায়ী বহিষ্কৃত ৫ শিক্ষার্থী হলেন- মোস্তফা রাফিদ (রেজি: নং ১৭-০৭৯৬৪), কে. এম. আশিকুর রহমান (রেজি: নং ১৭-০৮০৬৯), মো. রাসেল আহমেদ (রেজি: নং ১৭-০৮০২৫), তোফায়েল আহমেদ (রেজি: নং ১৭-০৭৯৫৩), মো. মহিবুল্লাহ সাগর (রেজি: নং ১৭-০৮০৫২)। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত তোফায়েল ও আশিকুর রহমান স্নাতক এবং বাকি ৩ জন মাস্টার্সে অধ্যয়নরত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এবং ইয়াং বাংলা কর্তৃক আয়োজিত ‘বিচ্ছুরণ’ অনুষ্ঠানে ওই ৫ শিক্ষার্থীর হাতে লাঞ্ছিত ও আহত হন ইয়াং বাংলার এক ভলান্টিয়ার। পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগী ও ভলান্টিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর অভিযোগ করেন।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের সঙ্গে সামান্য বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল ওই ভলান্টিয়ারের। আমরা আমাদের শিক্ষাজীবন ভালোভাবে শেষ করতে চাই। পড়াশোনার মাঝপথে এমন সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য মেনে নেওয়া খুবই কঠিন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি মানবিক দিক বিবেচনা করে আমাদের বহিষ্কার আদেশ তুলে নিয়ে শিক্ষাজীবন শেষ করার সুযোগ দেওয়ার।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হারুনর রশীদ বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পাঁচজনকে অপরাধী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশে সিন্ডিকেট থেকে শাস্তির অনুমোদন করা হয়েছে। এখনো একজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাকে শনাক্ত করে দোষী হিসেবে প্রমাণ মিললে একই শাস্তি কার্যকর হবে। শিক্ষার্থীদের আপিলের সুযোগ আছে। আপিল করলে সেটি নিয়ে আবার মিটিং ও সিদ্ধান্ত হবে।
তাসনিম আহমেদ তানিম/এমএইচআর/জিকেএস