র‌্যাগিং-চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুর

ইবির ৩ শিক্ষার্থী স্থায়ী ও ৩ জন সাময়িক বহিষ্কার

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ০৩:৪৪ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নবীন শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিং এবং মধ্যরাতে মাদকাসক্ত অবস্থায় চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আট শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজনকে স্থায়ী এবং তিনজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্য দুইজনকে সতর্ক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

স্থায়ী বহিষ্কৃতরা হলেন- মেডিকেল সেন্টার ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজোয়ান সিদ্দিকী কাব্য এবং হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত বিভাগটির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান ইমন ও হিশাম নাজির শুভ। সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন- র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার পুলক, সাদমান সাকিব আকিব, ও শেখ সালাউদ্দীন সাকিব।

আরও পড়ুন: মধ্যরাতে চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাঙচুর, তদন্তে কমিটি

ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন জানান, তদন্তে চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজোয়ান সিদ্দিকী কাব্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্থায়ী বহিষ্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত সালমান আজিজ ও আতিক আরমান ঘটনার সময় উপস্থিত থাকলেও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাদের শেষবারের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

‘অন্যদিকে র‌্যাগিংয়ের ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মিজানুর রহমান ইমন ও হিশাম নাজির শুভকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্য তিন অভিযুক্ত সরাসরি ঘটনার সঙ্গে জড়িত না হলেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে কোনো বাধা দেন করেনি, সমর্থন করেছেন। সেজন্য আগামী এক বছরের জন্য তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে।’

২ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর দফায় দফায় হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক নবীন শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার পুলক, হিশাম নাজির শুভ, সাদমান সাকিব আকিব, ও শেখ সালাউদ্দীন সাকিবের বিরুদ্ধে। এর আগে ১০ জুলাই মাদকাসক্ত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর, অ্যাম্বুলেন্সচালককে মারধর এবং কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে আইন বিভাগের ছাত্র রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য, সালমান আজিজ ও আতিক আরমানের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: নবীন ছাত্রকে র‌্যাগিংয়ের তথ্য চেয়ে তদন্ত কমিটির বিজ্ঞপ্তি

এ ঘটনায় মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ও ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ জুলাই অনুষ্ঠিত ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিনকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সবশেষে মঙ্গলবার সভায় উভয় তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

রুমি নোমান/জেএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।