আন্দোলনে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা

‘সিজিপিএ শর্তে অনড় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক
ক্যাম্পাস প্রতিবেদক ক্যাম্পাস প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০৮ পিএম, ২২ আগস্ট ২০২৩

সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে মানোন্নয়ন পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের একদফা দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি না মানতে অনড় অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ‘প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষে প্রমোশন পেতে সিজিপিএ ২ প্রয়োজন, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় বর্ষে প্রমোশন পেতে সিজিপিএ ২.২৫ এবং তৃতীয় থেকে চতুর্থ বর্ষে প্রমোশন পেতে ২.৫ প্রয়োজন। তা না হলে আবারও আগের বর্ষে থাকতে হয়। তাই তারা এ সিজিপিএর শর্ত শিথিলের দাবি জানান।’

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় নীলক্ষেত মোড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ড. কুদ্দুস সিকদার বলেন, সিজিপিএ শর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনড় অবস্থানে রয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কথা বলছি। তবে কর্তৃপক্ষ তাদের যে নীতিমালা রয়েছে সেটির ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছে। তারপরও আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

আরও পড়ুন>> বৃষ্টিতে ভিজে আন্দোলনে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি আমাদের জানা আছে। এ দাবিগুলো- আমাদের কলেজের অধ্যক্ষরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। কলেজ প্রশাসনের যেসব দায়বদ্ধতার জায়গা রয়েছে সে বিষয় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

তবে, সাত কলেজের ফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতার বিষয়টি যৌক্তিক দাবি মনে করে তিনি বলেন, ৮-৯ মাসে পরীক্ষার ফল প্রকাশের যে বিষয়টি শিক্ষার্থীরা সামনে এনেছেন আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তা যৌক্তিক। প্রধানমন্ত্রী সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিয়েছেন কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করার জন্য, সেশনজট দূর করার জন্য। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি কোনো বিষয়ের ফল প্রকাশ করতে ৮-৯ মাস সময় নেয় সেটি কাম্য নয়। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা একমত। ফল প্রকাশে দীর্ঘসময়ের প্রয়োজন নেই।

তিনি আরও বলেন, দ্রুত ফল প্রকাশ করার জন্য একক পরীক্ষকের মাধ্যমে খাতা মূল্যায়ন করা হয়। অথচ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষক ও নিরীক্ষক থাকতে হয়, যাতে শিক্ষার্থী পুরোপুরি ন্যায়বিচার পান। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো একক পরীক্ষক রাখা হয়েছে যাতে দ্রুত ফল প্রকাশ করা যায়। তারপরও যদি ফল প্রকাশ এত দীর্ঘসময় প্রয়োজন হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের অনেক সময় চলে যায়।

এ সময় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো শিক্ষার্থীর প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষে সিজিপিএ ২, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় বর্ষে সিজিপিএ ২.২৫ এবং তৃতীয় থেকে চতুর্থ বর্ষে প্রমোশন পেতে ২.৫ পেতে হবে। তা না হলে ওই শিক্ষার্থীকে আবারও আগের বর্ষে থাকতে হবে।

নাহিদ হাসান/এমএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।