ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন

ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ ৫ শিক্ষার্থী স্থায়ী বহিষ্কার

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৫:৩৪ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২৩
স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরাসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেল ৪টায় উপাচার্যের বাসভবনে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সিন্ডিকেট সভার সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আজ ২৬০তম জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের নির্দেশনা মোতাবেক পর্যালোচনা করে সিন্ডিকেটে অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: নেত্রী সানজিদাসহ অভিযুক্তদের ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার

বহিষ্কৃতরা হলেন শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম এবং চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী। বাকি চারজনও ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন।

ওই পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী ফুলপরীকে রুমে ডেকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তের পাল্টা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শাখা ছাত্রলীগ পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়।

আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে ফুলপরী, থাকবেন বঙ্গমাতা হলে 

তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় গত ৪ মার্চ পাঁচ ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি ছাত্রলীগ থেকেও তাদের বহিষ্কার করা হয়। এরপর গত ১২ জুন ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আত্মপক্ষ সমর্থনে শেষবারের মতো সাক্ষাৎকার দিতে ক্যাম্পাসে আসেন অভিযুক্তরা।

গত ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাইকোর্টের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্তদের এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু শাস্তি বিধিসম্মত না হওয়ায় গৃহীত শাস্তি বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পুনরায় শাস্তি নির্ধারণ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষকে প্রত্যাহার

নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোড অব কন্ডাক্টের বিধি ১ এর ৪, ৫, ৭ ধারা এবং বিধি ২ এর ৮ ধারা অনুযায়ী শাস্তি নির্ধারণ করে আগামী ২৩ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। সর্বশেষ আজ অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।

রুমি নোমান/এমআরআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।