রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

লিফলেট-ব্যানারে সীমাবদ্ধ ডেঙ্গু প্রতিরোধ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৫:৪০ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রব বেড়েছে। এতে ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, মশক নিধনে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিয়ে শুধু প্রচার-প্রচারণায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যস্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও মশার বিস্তার রোধে যত্রতত্র জমে থাকা পানি নিষ্কাশন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু মশক নিধন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

jagonews24

বুধবার (১৯ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম সই করা একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে ব্যানার বানিয়ে ও লিফলেট বিতরণের ব্যবস্থাসহ ক্যাম্পাসে ৩-৪ জায়গায় বড় স্ট্যান্ড ব্যানার স্থাপন করে ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়। তবে সেখানেও মশক নিধন সম্পর্কিত কোনো তথ্য তুলে ধরেনি রাবি প্রশাসন।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ে সতর্ক করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

মশা নিধনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদক্ষেপের সমালোচনা করে একজন শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ব্যানার বানায়েই শেষ। আসল কাজ কে করবে? মশাতো আর নিজে থেকে সুইসাইড করবে না।’

আরেক শিক্ষার্থী একটু ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, ব্যানার পড়ে মশা চলে যাবে!’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আমান উল্লাহ খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে প্রায় ৩৫ হাজারের শিক্ষার্থীর চলাফেরা। বিশেষ করে যারা হলে থাকেন তারা অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছেন। হলের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ কিংবা, বিভিন্ন নির্মাণাধীন ভবনের বর্জ্য এডিস মশার বংশবৃদ্ধির আঁতুড়ঘর।’

আরও পড়ুন: জ্বর হওয়ার কতদিনের মধ্যে কোন টেস্ট করলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে?

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ক্যাম্পাসে মশক নিধনের ক্যাম্পেইন বাড়ানো। ড্রেন বা যেখানে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা জমে আছে সেসব জায়গায় মশক নিধন কর্মসূচি চালানো। আমরা ডেঙ্গুমুক্ত ক্যাম্পাস চাই।’

jagonews24

এ বিষয়ে কথা হয় ডেঙ্গু প্রতিরোধ সভায় উপস্থিত থাকা ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজিজ আবদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, সভায় মশক নিধনের বিষয়ে কথা হয়নি। সভাটা ছিল মূলত ডেঙ্গু সচেতনতার জন্য। আমরা সেখানে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যে বিষয়গুলো দরকার সেই তথ্যগুলো উপস্থাপন করেছি। তবে জানতে পেরেছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিটি করপোরেশনের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে ফগার মেশিন নিয়ে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, হল ও ভবনগুলোর সামনে ব্যানার, শিক্ষার্থীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণসহ ক্যাম্পাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খুব শিগগির ফগার মেশিন দিয়ে ক্যাম্পাসে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

মনির হোসেন মাহিন/এসআর/জিকেএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।