রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাসেই আয়োজন হলো ব্যতিক্রমী গায়ে হলুদ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে একদল তরুণ-তরুণীর হলদে শাড়ি ও পাঞ্জাবিতে চোখ আটকে যায় পথচারীদের। বাঁশের ডালা, কুলা, চালুন, দিয়ে সাজানো হয়েছে বর-কনের আসন। নিজ ক্যাম্পাস ও একাডেমিক ভবনের সামনে এভাবেই বর-কনের সাজে বসে আছে কামরুল হাসান জিহাদ ও শাকিনাতুন সুলতানা কানন।
শনিবার (১০ জুন) ব্যতিক্রমী এই গায়ে হলুদের আয়োজন করে বন্ধুবান্ধব ও প্রিয়জনরা। চিরায়ত হলুদের মতোই হলুদ, মেহেদি, মিষ্টান্ন, ফলমূলসহ কোনো কিছুরই কমতি ছিল না সেখানে। হলুদ শেষে গানের আসর নিয়ে বসেন বিভাগের বন্ধুরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কনে শাকিনাতুন সুলতানা কানন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে পড়াশোনা করছেন। তার বাসা রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়। দুই পরিবারের সম্মতিতেই তাদের বিয়ে হচ্ছে। বিয়েতে বিভাগের বন্ধুবান্ধব, হলের সিনিয়র আপুরাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চিরকুট লিখে রাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
এদিকে বর কামরুল হাসান জিহাদ বুয়েট থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। তার বাসা গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায়। পড়াশোনা শেষ করে তিনি এখন পানি উন্নয়ন বোর্ডে সহকারী ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন। এসময় তার দুইবোনও হলুদ সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদের পর্ব শেষ হলেও বিয়ে হবে তাদের নিজ বাড়িতে। বাড়িতেও আবার হলুদের আয়োজন করা হবে।
নিজ ক্যাম্পাসে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন সম্পর্কে কনে শাকিনাতুন সুলতানা কানন বলেন, 'আমার খুব ইচ্ছে ছিল ক্যাম্পাসে এমন একটি আয়োজন হোক। বন্ধুবান্ধব ও হলের আপুরা মিলে আমার সেই আশা পূরণ করলো। সবার এত ব্যস্ততা থাকার পরেও এই আয়োজন উপলক্ষে এসেছে, আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। ক্যাম্পাসের সকলকে এক সাথে পেয়ে আমিই খুবই আনন্দিত। বাড়িতে হলে সবাইকে একসাথে পাওয়া যেতো না। কাছের মানুষগুলোর সঙ্গে গায়ে হলুদ আয়োজন, এটা সত্যিই আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।’
আরও পড়ুন: ডিন’স অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাবির ১০২ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
অনুভূতির বিষয়ে জানতে চাইলে বর কামরুল হাসান বলেন, নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হবে কখনও ভাবিনি। আমি অনেক বেশি আনন্দিত। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
এই গায়ে হলুদ প্রোগ্রামের অন্যতম আয়োজক কনের বন্ধু জাহিদ হাসান রানা বলেন, বন্ধুবান্ধব মিলে ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদ করার মধ্যে একটা অন্যরকম আনন্দ আছে। ভালবাসার জায়গায় বন্ধুর গায়ে হলুদ হচ্ছে বলে ভালো লাগছে। তার দাম্পত্য জীবনের জন্য শুভ কামনা রইলো।
মনির হোসেন মাহিন/জেএস/এমএস