ভর্তিযুদ্ধ
প্রক্সিকাণ্ডে রাবির ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। পরে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
বুধবার (৩১ মে) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে সাংবাদিকদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় বসাক।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিবুল ইসলাম শান্ত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। শান্ত নাটোর জেলা সদরের কালিকাপুর এলাকার আলি আহম্মদের ছেলে।
আরও পড়ুন: জাবিতে প্রক্সি কাণ্ডে ঢাবির দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা
এসময় রাজশাহী পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, প্রক্সিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১৬ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আরও অনেকে অজ্ঞাত। ১৬ জনের মধ্যে ৯জনকে আটক করা হয়েছে। এসময় পুলিশ কমিশনার প্রক্সিকাণ্ডে জড়িতদের চার স্তরের একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করেন।
সেখানে তিনি বলেন, প্রক্সিকাণ্ডে আটক করা হয়েছে সাতজন। মিডওয়ে কালেক্টর তিনজন। দ্বিতীয় সারিতে দুজন ও মূলহোতা একজন। তাদের মধ্যে ৯জনকে আটক করা হয়েছে এবং অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের তথ্যমতে দ্বিতীয় সারিতে রয়েছে রাবি ছাত্রলীগ নেতা সাকিবুল ইসলাম শান্ত। তাকে কাটাখালী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হাসিবুল ইসলাম শান্ত প্রক্সিদাতাদের সঙ্গে ৫০-৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে চুক্তি করেন। মঙ্গলবার আটক প্রক্সিদাতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা এ তথ্য জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন পরীক্ষায় জালিয়াতি ও অন্যের হয়ে প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে সাতজনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার সকালে ছাত্রলীগ নেতা শান্তসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
নগরীর মতিহার ও চন্দ্রিমা থানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে মামলাগুলো করেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম। তাদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, কিছুক্ষণ আগে বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। যদি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রক্সি কাণ্ডের সত্যতা প্রমাণিত হয় তাহলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে প্রক্সি কাণ্ডে মূলহোতা ছিলেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়। পরে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয় পরে আবার তার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
মনির হোসেন মাহিন/আরএইচ/জিকেএস