চবিতে ভর্তি পরীক্ষা

ফেসবুকে দেওয়া তথ্যের সঙ্গে সেই কর্মকর্তার ছেলের রেজাল্ট হুবহু মিল

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৪:৫৫ পিএম, ২২ মে ২০২৩

প্রকাশের আগেই ছেলের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক কর্মকর্তা। তিনি কীভাবে ফলাফল পেলেন তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। কিন্তু আজকের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ফেসবুকে দেওয়া পোস্টের তথ্যের সঙ্গে আজকের ফলাফল হুবহু মিলে গেছে।

সোমবার (২২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ‘এ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, ওই কর্মকর্তার ছেলে সম্মিলিত মেধাতালিকায় ১৬৯৬তম এবং কোটা তালিকায় তৃতীয় হয়েছেন।

এর আগে রোববার (২১ মে) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ছেলের চান্স পাওয়ার বিষয়টি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কশিট শাখার উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী।

আরও পড়ুন: প্রকাশের আগেই কর্মকর্তার হাতে ছেলের রেজাল্ট, ফেসবুকে পোস্ট

ফেসবুক পোস্টে ওই কর্মকর্তা লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আমার ছেলে আবীর চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটে (সায়েন্স ফ্যাকাল্টি) ভর্তি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধাতালিকায় ১৬৯৬তম এবং কোটা তালিকায় তৃতীয় হয়েছে। সবার কাছে দোয়া প্রার্থী।’

এ ঘটনায় ‘প্রকাশের আগেই কর্মকর্তার হাতে ছেলের রেজাল্ট, ফেসবুকে পোস্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাগো নিউজ। পরে আজ সকালে ওই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘তিনি কীভাবে রেজাল্ট পেয়েছেন তা আমরা এখনো জানি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘এ’ ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর ও মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওই কর্মকর্তা কীভাবে ফলাফল পেলেন তা নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় আরও কে কে জড়িত তা বের করার চেষ্টা চলছে।’

আহমেদ জুনাইদ/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।