ব্রয়লার মুরগির খাদ্যে প্রোটিনের বিকল্প কেঁচোর পাউডার

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৭:০৫ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০২৩

কৃষিজমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য বহুকাল ধরেই জৈবসার হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে কেঁচোসার বা ভার্মি কম্পোস্ট। কেঁচোর রয়েছে আরও অনেক সম্ভাবনাময় ব্যবহার। ব্রয়লারের খাদ্যে উদ্ভিদ প্রোটিনের বিকল্প কেঁচোর পাউডার তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গবেষকরা।

গবেষকরা বলছেন, সবজির উচ্ছিষ্টাংশ, কলাগাছ, মুরগির স্লারি ও গোবর একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশিয়ে মাত্র ২১ দিন সময়ে ২০০ গ্রাম কেঁচো বীজ থেকে প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি কেঁচো উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। একবার বীজ স্থাপন করলে ফসলের মতো বারবার কেঁচো উত্তোলন করা সম্ভব। সামনে এর পুষ্টি গুণাগুণ নিয়ে আরও গবেষণা করা হবে বলে জানান গবেষকরা।

ব্রয়লারের খাদ্য প্রোটিনের বিকল্প হবে কেঁচোর পাউডার

গবেষণা দলে আছেন পশুপুষ্টি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিকুর রহমান শিশির, পশুবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসান মোহাম্মদ মোর্শেদ ও তিন শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের আওতায় ২০১৬ সালে দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পের অধীন গবেষণাটি শুরু হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, পোলট্রি খাদ্য রেশনে কেঁচোর পাউডার ব্যবহারে ব্রয়লার মুরগির স্বাদে, রঙে ও চর্বির পরিমাণে পরিবর্তন এসেছে। পরিবর্তিত রেশন খাওয়ানো ব্রয়লারের মাংস কিছুটা লালচে রঙের হয়। বুকের মাংসে কম পরিমাণে চর্বি জমতে দেখা যায়।

ব্রয়লারের খাদ্য প্রোটিনের বিকল্প হবে কেঁচোর পাউডার

প্রধান গবেষক ড. মো. শফিকুর রহমান শিশির বলেন, পোলট্রি খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ হচ্ছে উদ্ভিদ ও প্রাণিজ প্রোটিনের মূল্যবৃদ্ধি। ব্রয়লার খাদ্য রেশনের প্রায় ২৫ শতাংশ প্রোটিন দেওয়া হয়। যার মধ্যে উদ্ভিদ প্রোটিনের প্রধান উৎস সয়াবিন এবং প্রাণিজ প্রোটিনের জন্য মিট মিল, ব্লাড মিলসহ মিথিওনিন ও লাইসিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব খাদ্য উপাদানের দাম যেমন বেশি, তেমনি বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। ব্রয়লার খাদ্যে কেঁচো পাউডার ব্যবহারে খাদ্যের দাম যেমন কমবে, তেমনি উৎপাদন খরচও কমে আসবে।

এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।