শেকৃবির গবেষণার মাঠ যেন মাদকের ‘আড্ডাখানা’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ১০:০০ পিএম, ২২ মার্চ ২০২৩

গবেষণার জন্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) একটি মাঠ করা হয়। এটি শেখ সায়েরা খাতুন ছাত্রী হলের সামনে অবস্থিত। গবেষণার জন্য মাঠটি সংস্কার করা হলেও এটি এখন ‘মাদকসেবীদের আড্ডাখানায়’ পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ রয়েছে খেলাধুলার জন্য ভাড়াও দেওয়া হয় এটি। এছাড়া ছাত্রী হলের সামনে হওয়ায় মাদকসেবীদের ইভটিজিংয়ের শিকার হন শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: দেশের তৃতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

নবনির্মিত শেখ সায়েরা খাতুন ছাত্রী হলের সামনে এবং শেখ কামাল ভবন সংলগ্ন মাঠটি গবেষণা মাঠ-২ হিসেবে সংস্কারের উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য প্রথমে ব্যয় হয় ৪৭ লাখ টাকা, পরে আরও ছয় লাখ টাকা বাড়ানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, গবেষণার জন্য মাঠ নির্মিত হলেও তা বহিরাগতদের খেলাধুলা, পিকনিক, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া সন্ধ্যার পর থেকেই মাঠের ভেতরে মাদক সেবীদের আড্ডা দিতে দেখা যায়। মাদকের কেনাবেচা এবং হাতবদলের নিরাপদ স্থান হিসবেও ব্যবহৃত হচ্ছে অন্ধকার নিরিবিলির এই মাঠ।

শেখ সায়েরা হলের নবীন শিক্ষার্থীরা বলেন, রাতে মাদকসেবীরা মাঠে বসে আড্ডা দেন। মাঝে মধ্যে আবার লেজার লাইট মেরে অশ্লীল শব্দ করে শিষ দেয়। আর দিনে মাঠে খেলাধুলা সময় চিল্লাচিল্লিতে পড়াশোনা কষ্টকর হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ইউরোপের কৃষি খাতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শেকৃবির সাবেক উপাচার্য প্রয়াত শাদাত উল্লার সময়ে এ মাঠটি দ্বিতীয় গবেষণা মাঠ হিসেবে সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয় হয়। পরবর্তী উপাচার্য কামাল উদ্দিন আহম্মেদের সময়ে মাঠের সংস্কারের কাজ করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহকারী ইঞ্জিনিয়ার বলেন, মাঠ ভরাটের সময় গবেষণায় চাষ উপযোগী মাটি ব্যবহার করার কথা থাকলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইট ও খোয়াযুক্ত মাটি ব্যবহার করে। এতে ১০ লাখ টাকার বিল আটকে দেয় উপাচার্য কামাল প্রশাসন। এরপর বর্তমান উপাচার্য সেই বিল পান করিয়ে দেন।

মাঠ ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, মাঠের ভাড়া সাড়ে আট হাজার টাকা। মাঝে মধ্যে খেলার জন্য ভাড়া দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: কৃষি ক্ষেত্রে নানামুখী সংকট ও উত্তরণের উপায়

এ মাঠ গবেষণার জন্য ব্যবহার করা হবে কি না জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহিদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, মাটি ভরাটের কিছু কাজ আছে, তা শেষ হলেই আমরা গবেষণার কাজে ব্যবহার শুরু করবো।

এ মাঠে মাদকের আসরের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আজকেই এটার ব্যবস্থা নেবো।

তাসনিম আহমেদ তানিম/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।