ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন
নেত্রী সানজিদাসহ অভিযুক্তদের ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ।
বুধবার (১ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলাপরিপন্থি, অপরাধমূলক ও সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী, কর্মী তাবাসসুম ইসলাম, ইসরাত জাহান মিম, হালিমা খাতুন উর্মী ও মুয়াবিয়া জাহানকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
আরও পড়ুন: ৫ ছাত্রীকে বহিষ্কার ও হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহারের নির্দেশ
এদিকে ঘটনার পর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। ২৬ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। এর তিনদিন পর বুধবার জড়িত ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অন্তরাসহ পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই হলের প্রভোস্ট ড. শামসুল আলমকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ক্যাম্পাসের বাইরে রাখতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে ইবির হলগুলোর সিসিটিভি মনিটরিং বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিক আরাফাত বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে ছাত্রলীগে কারও স্থান হয়নি। ভবিষ্যতেও হবে না। আমরা কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।
বহিষ্কারাদেশ স্থায়ী নাকি অস্থায়ী জানতে চাইলে শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘আমাদের উৎসগুলো থেকে তথ্যের ভিত্তিতে বহিষ্কার করেছি। এ ঘটনায় সবার সংশ্লিষ্টতা আছে এটা নিশ্চিত। এখন অপরাধ কতটুকু এটা তো বিবেচ্য বিষয়। এখানে তাদের ভুল বা অন্যায় যেটাই হোক তার গভীরতার ভিত্তিতে বহিষ্কারাদেশ কার্যকর হবে। এটা স্থায়ীও হতে পারে, অস্থায়ীও হতে পারে।’
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন। তিনি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।
অভিযোগ ওঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তারা ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করে তার বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে রাখেন।
রুমি নোমান/এসআর/জিকেএস