ইবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা দিয়ে তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছেন তারা।
একইসঙ্গে কার্যালয়ের সামনে উপাচার্যকে আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত বরপুত্র উল্লেখ করে অপসারণের দাবিতে ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছেন ও প্রশাসন ভবনের সামনে উপাচার্যের ফাঁস হওয়া অডিও বাজাচ্ছেন।
তবে এ সময় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। তিনি বাসভবন থেকেই অফিস কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
এর আগে শনি ও সোমবার তারা একই দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করেন।
আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগে দৈনিক মজুরিভিত্তিতে কাজ করেন এবং তাদের বেশিরভাগই সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
এদিকে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান টিটু এবং সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দারের নেতৃত্বে কার্যালয়ের সামনে ভিসির অপসারণ দাবিতে অন্তত ৩০ জনকে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
তারা ছাত্রলীগের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; হৈ হৈ রৈ রৈ, সালাম চোর গেলি কই?; শেখ হাসিনার বাংলায়, দুর্নীতির ঠাঁই নাই, শেখ হাসিনার বাংলায়, সালাম চোরের ঠাঁই নাই; সালাম চোরের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও; হাকিম গেছে যে পথে, সালাম যাবে সেই পথেসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার ‘ফারাহ জেবিন’ ও ‘মিসেস সালাম’ নামে দুটি ফেসবুক আইডি থেকে ভিসির ‘কণ্ঠসদৃশ’ পর পর পাঁচটি আলাপনের অডিও পোস্ট করা হয়। পরে ‘আল বিদা’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে অন্য আরেকটি অডিও ফাঁস হয়। অডিওগুলোতে অগ্রিম চাকরির প্রশ্নফাঁস ও শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে উপাচার্যকে কথা বলতে শোনা যায়।
রুমি নোমান/এফএ/জিকেএস