ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে তল্লাশি
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্যের কার্যালয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদের নেতৃত্বে একটি সিকিউরিটি টিম এ অভিযান চালায়।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান চলে।
তাৎক্ষণিকভাবে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে অভিযান পরিচালনাকারী অন্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপাচার্য কার্যালয়ে কোনো ডিভাইস বা অডিও রেকর্ডার আছে কি না তা খুঁজতেই এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের নেতৃত্বে সেখানে তল্লাশি চালিয়েছি। তবে সেখানে অডিও রেকর্ডার বা অন্য কোনো ধরনের বিপজ্জনক কিছু পাওয়া যায়নি।’
সম্প্রতি দুটি ফেসবুক আইডি থেকে কিছু অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। সেখানে ইবি উপাচার্য শেখ আব্দুস সালামের কণ্ঠসদৃশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নিয়োগসহ কয়েকটি বিভাগের নিয়োগ ও প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে শোনা যায়।
এ ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। সেইসঙ্গে আসন্ন তিনটি নিয়োগ বোর্ড বন্ধ করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবকের কথোপকথন বাইরে যায়। এটা খুবই পরিতাপের এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের।’
এদিকে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবস্থান তুলে ধরে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন জনসংযোগ অফিসের পরিচালক আমানুর রহমান।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, কথিত নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিতই হয়নি। পরীক্ষার কোনো প্রশ্নপত্রই প্রণীত হয়নি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত নিয়োগ বোর্ডের সব সদস্যের উপস্থিতিতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠানের ঠিক আগে প্রত্যেক সদস্যের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়। সদস্যদের উপস্থিতিতে কম্পিউটারে তা চূড়ান্ত করে সিলগালা অবস্থায় পরীক্ষার হলে নিয়ে যাওয়া হয়। কথিত নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে এসবের কিছুই সম্পন্ন হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রয়োজনে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না। যে কদিন থাকবো কোনো অন্যায়ের সঙ্গে নিজেকে জড়াবো না কিংবা প্রশ্রয় দেবো না।’
রুমি নোমান/এসআর/এএসএম