কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
১১ মাস ধরে চলছে মাঠের কাজ, বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলা
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠটির সংস্কারকাজ ১১ মাস ধরে চলছে। মাঠের অভাবে দীর্ঘ সময় বন্ধ আছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও শরীরচর্চা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের গাহি সাম্যের গান মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন আরেকটি মাঠেও নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। ২০২১ সালের নভেম্বরে এ মাঠে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানান। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ উপেক্ষা করেই মাঠটিতে নির্মিত হয়েছে সুউচ্চ প্রশাসনিক ভবন।
আরও পড়ুন: গুচ্ছের ফলাফলে অনিয়মের অভিযোগ, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন
অন্যদিকে গত বছরের মার্চ মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠটিতে সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সেই সংস্কারকাজ চলমান। কবে নাগাদ শেষ হবে তাও বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কেউই।
এভাবে এক মাঠে বহুতল ভবন নির্মাণ, অন্যমাঠে সংস্কারের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে বন্ধ খেলাধুলা ও শরীরচর্চা। এমনকি মাঠের অভাবে বন্ধ আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত বার্ষিক ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্নামেন্টও। এমন অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: তিন শিক্ষার্থীকে মারধর, ছাত্রলীগকর্মী বললেন ‘কুৎসা’ রটায়েন না
এ বিষয়ে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাসনিমুল হাসান মুবিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কোনোরকম মূল্যায়ন না করে একটি মাঠে ভবন নির্মাণ করা হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবশিষ্ট একমাত্র খেলার মাঠটিও প্রায় এক বছর থেকে বন্ধ হয়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অদূরদর্শী পরিকল্পনার ফলেই খেলার মাঠ সংকটে পড়েছে শিক্ষার্থীর।’
তানভীর আহমেদ নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় যদি খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত মাঠ না পাওয়া যায় এটা প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা। দীর্ঘ সময় এমন অবস্থার ফলে শিক্ষার্থীরা মাঠের খেলাধুলা থেকে মুখ ফিরিয়ে মাদকাসক্তর মত বিপথে পরিচালিত হতে পারে। বিষয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাথায় রাখা উচিত ছিল।’
আরও পড়ুন: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর হামলায় ছাত্রলীগ কর্মী আহত
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক জিয়াউদ্দিন মন্ডল জাগো নিউজকে বলেন, মাঠ সংকটে আমাদের নিয়মিত বার্ষিক টুর্নামেন্টগুলো আয়োজন করতে পারছি না। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল এবং ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলোতে ভরাডুবির অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে মাঠের অভাব। যার কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের যথেষ্ট প্র্যাকটিস করাতে পারিনি। প্রশাসনের কাছে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মাঠের সংস্কার কাজ শেষ করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক জোবায়ের হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, খেলাধুলার জন্য আলাদা কোনো মাঠ আছে কি-না তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চিন্তার বিষয়। আমার কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে এবং যথাসময়ে হচ্ছে কি-না তার দেখাশোনা করা। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠ সংস্কারের প্রকল্পটি শেষ হতে আরও কিছুদিন লাগবে। আমরা চেষ্টা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাঠের কাজ শেষ করতে।
এসজে/জেআইএম