গুচ্ছের ফলাফলে অনিয়মের অভিযোগ, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন
গুচ্ছভুক্ত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) সপ্তম ধাপের শূন্য আসনে ভর্তির জন্য প্রকাশিত ফলাফলে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগ এনে আন্দোলনে নেমেছেন ভুক্তভোগী ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনে বসেন ভর্তিচ্ছু চার শিক্ষার্থী। এসময় তারা প্রকাশিত সপ্তম মেধাতালিকা বাতিল করে পুনরায় ফলাফল প্রকাশের দাবি জানান।
তাদের দাবি, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় রিপোর্টিংয়ের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেও তারা ভর্তির জন্য মনোনীত হননি। অন্যদিকে, মেধাতালিকায় তাদের পেছনে থেকেও অনেকে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, যারা মেধাতালিকায় সামনে থেকেও ভর্তির জন্য মনোনিত হননি তারা হয়তো তাড়াহুড়ো করে রিপোর্টিংয়ের সময় স্বাক্ষর করেননি অথবা প্রবেশপত্র জমা দেননি।
আন্দোলনরত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী রায়হান রাসেল বলেন, গুচ্ছ মেধাতালিকায় বি ইউনিটে আমার পজিশন ছিল ১১৮১। আমার পছন্দের তালিকায় ফোকলোর বিভাগ ছিল। অথচ মেধাতালিকায় আমার পেছনে ১২৯২ মেধাক্রমে থেকে ফোকলোর বিভাগ পেলেও আমাকে কোনো বিভাগে মনোনীত করা হয়নি। আমি রিপোর্টিংয়ের সময় সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। আমি ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত রেখে নতুন করে ফলাফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি। অথবা আমাকে রিপোর্টিংয়ের নথি দেখানো হোক।
সি ইউনিটের মেধাতালিকায় ৬৬১তম অবস্থানে থাকা উদয় হাসান রাজ বলেন, আমার সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। সব শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও আমাকে ভর্তির সুযোগ না দিয়ে আমার পরে মেরিটে থাকা অনেককেই ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি পুনরায় ফলাফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।
এসময় আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান। তিনি আন্দোলনরত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের গুচ্ছের নিয়ম মেনে ফলাফল পুনর্বিবেচনা করতে বলেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীরের কাছে গেলে তিনি বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংশয় বা অভিযোগ থাকলে গুচ্ছের নিয়ম অনুযায়ী দুই হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে রশিদসহ আবেদন করতে হবে।
এর আগে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে সপ্তম মেধাতালিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশিত ফলাফলে অনিয়মের অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের মন্তব্য করতে থাকেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
এমআরআর