বশেফমুবিপ্রবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আলম

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ০৫:৩৯ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২২
অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান

জামালপুরের মেলান্দহে অবস্থিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সোমবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুব আলম সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি কারা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতির আদেশে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খানকে চার বছরের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, সিন্ডিকেট সদস্য ছাড়াও একাডেমিক ও প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ড. কামরুল আলম খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন । তার বহু গবেষণাকর্ম দেশি-বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি দেশে ও দেশের বাইরে বহু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এনার্জির সহযোগী গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।

এদিকে, পাথরকুচি পাতা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিস্ময়কর পদ্ধতির আবিষ্কার করে দেশে আলোচিত হন ড. কামরুল আলম খান। পাথরকুচি পাতার রস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে তিনি বৈদ্যুতিক বাতি, টেবিল ফ্যান, এনার্জি বাল্ব, কম্পিউটার, সাদাকালো টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্র চালিয়ে সফল হয়েছেন।

এর আগে, উপাচার্য সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদের অপসারণসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে গত ২ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতি, অবস্থান কর্মসূচিসহ নানামুখী আন্দোলনে নামেন শিক্ষকরা। ১৭ নভেম্বর ছিল উপাচার্য সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদের শেষ কর্মদিবস। তবে ওইদিন তিনি ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন না। অসুস্থতার কথা বলে প্রথমে জামালপুর শহর ও পরে ঢাকায় চলে যান।

মো. নাসিম উদ্দিন/এমআরআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।