মধ্যরাতে বশেফমুবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ২০

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ০৬:২০ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

 

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এ সময় মির্জা আজম হলে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীন ও যুগ্ম-আহ্বায়ক এহসানুল হক ইরফান গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

jagonews24

সংঘর্ষে আহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এহসানুল হক ইরফান এবং সমাজকর্ম বিভাগের শাকিল আহমেদ জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বিকেলে ছাত্রলীগের একপক্ষ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

jagonews24

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মির্জা আজম হলের ১০১ নম্বর কক্ষে সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষার্থীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীন ও যুগ্ম-আহ্বায়ক এহসানুল হক ইরফান গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। এ সময় মির্জা আজম হলে ভাঙচুর চালানো হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীন বলেন, ‘১০১ নম্বর রুমে মাদকাসক্ত এক শিক্ষার্থী থাকে। সে অন্য শিক্ষার্থীকে গাঁজা সেবনের জন্য ডাকে। এটা নিয়েই রুমের বড় ভাইদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়।’

jagonews24

ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক এহসানুল হক ইরফান বলেন, আমাদের কর্মী শাকিল আহমেদকে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা মারধর করায় সংঘর্ষ বাধে।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিপক্ষের হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে যুগ্ম-আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীনের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

jagonews24

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবদুল মাননান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনাটি মধ্যরাতে ঘটেটে। ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাস এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মো. নাসিম উদ্দিন/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।