শুদ্ধাচার পুরস্কার পেশাগত দক্ষতা বাড়াবে: বশেফমুবিপ্রবি উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বশেফমুবিপ্রবি
প্রকাশিত: ১০:০৫ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২২

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) মাধ্যমে আমাদের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। আর শুদ্ধাচার পুরস্কার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে তাদের মাঝে কাজের স্পৃহা ও প্রতিযোগিতার হারও বাড়বে। ফলে প্রতিষ্ঠান যেমন এগিয়ে যাবে তেমনই কাজের গতি বাড়বে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।

বুধবার (৩১ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের মিলনায়তনে আয়োজিত ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান ২০২১-২২ ও বার্ষিক প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন’ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্ম উদ্যোগ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার আলোকে কাজের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার এ পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। এ ধরনের পুরস্কার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। নতুন একটা বিশ্ববিদ্যালয়, স্বল্পসংখ্যক লোকবল নিয়ে দিনরাত এক করে কাজ করেছি। কর্মদক্ষতার প্যারামিটার অনুসরণ করে তিনজনকে শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি তাদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই। তাদের দেখে অন্য কর্মীরা উৎসাহিত হবেন। আমার বিশ্বাস এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের মেধা দিয়ে গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে দেশের উন্নয়নকে আরও গতিশীল করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবেন। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবেন।

২০২১-২২ অর্থবছরে তিনটি ক্যাটাগরিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া হয়। তারা হলেন- একাডেমিক ও কাউন্সিল শাখার শাখা কর্মকর্তা মো. সাব্বির হোসেন, রেজিস্ট্রার দপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট রাকিবুল হাসান এবং অফিস সহায়ক মো. শাহজালাল। পুরস্কারপ্রাপ্তদের একটি ক্রেস্ট, সনদ ও চেক দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ট্রেজারার মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক কর্নেল (অব.) কাজী শরীফ উদ্দিন বিশেষ অতিথি ছিলেন।

এদিকে, অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে অর্থাৎ ২০১৮-২০১৯, ২০১৯-২০২০ এবং ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক প্রতিবেদন একই সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে। এসময় অন্যদের মধ্যে ফিশারিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আব্দুস ছাত্তার, সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আল মামুন সরকার, ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. রাশিদুল ইসলাম, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান রিপন রায়, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ন কবির, সহকারী প্রক্টর ড. এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান ও মুহাম্মদ রফিকুল বারী, এপিএ ফোকাল পয়েন্ট সহকারী রেজিস্ট্রার মো. আনিসুজ্জামানসহ শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এমআরআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।