সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে বামজোটের বিক্ষোভ
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও এ খাতে লুটপাটকারীদের বিচারের দাবিতে করা বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে মিছিল করেছে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিন থেকে এ মিছিল বের করা হয়।
মিছিল শেষে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঢাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবন যেখানে নাজেহাল, সেখানে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করে নতুন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।
‘এর প্রতিবাদে আমরা রোববার (৭ আগস্ট) শান্তিপূর্ণভাবে শাহবাগে সমাবেশ করছিলাম। সেখানে পুলিশ আমাদের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদে আজ এ বিক্ষোভ মিছিল করছি।’
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল বলেন, রাতারাতি অযৌক্তিকভাবে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর আগে সারের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন আমরা দেখছি, সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর পায়তারা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০১৫-২০২২ সাল পর্যন্ত বিপিসি ৪৬ হাজার কোটি টাকা মুনাফা লাভ করেছে। আর মাত্র কয়েকমাসের লোকসানের অজুহাতে তারা তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। একলাফে এত পরিমাণ তেলের দাম কোথাও বাড়ানো হয় না।
‘আমরা দেখতে পাচ্ছি জনগণের ওপর এ সরকার অলিখিত যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মুদ্রাস্ফীতির কারণে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। অথচ এদিকে সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।’
সাদেকুল ইসলাম আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক থেকে তারা দুই হাজার কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে। অথচ পিকে হাালদার একাই ১০-১২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। দেশ থেকে টাকা পাচারের মহোৎসব শুরু করেছে এ সরকার।
তিনি বলেন, সাধারণ জনগণ আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন। তারা এ দুর্বিষহ অবস্থা আর সইতে পারছেন না। প্রতিটি রাজনৈতিক সংগঠন ও ঢাবি শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা আন্দোলনে শামিল হোন, রাজপথে নেমে আসুন।
‘এ সরকারের জুলুম-অত্যাচার থেকে রেহাই পাবেন না। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা এ দেশে থাকবেন না। তাদের সন্তানরা বিদেশে থাকবে। খোঁজ নিলে দেখা যাবে তারাও বিমানের টিকিট রেডি করে রেখেছেন।’
আল-সাদী ভূঁইয়া/এসএএইচ/জিকেএস