রাষ্ট্রপতির ছেলের চালককে মারধর, জবি ছাত্রলীগকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপতির ছেলের ব্যক্তিগত গাড়িচালককে মারধরের ঘটনায় কৌশিক সরকার সাম্য নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কৌশিক সঙ্গীত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
সোমবার (২৭ জুন) ওয়ারী থানায় বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী চালক নজরুল ইসলাম। তিনি রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষারের গাড়ির চালক বলে জানান ওয়ারী থানা পুলিশ।
ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীর হোসেন হাওলাদার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার ওয়ারীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের কাছে গাড়িতে চালক থাকার সময় আসামি সাইড দিতে বলে। পরে তুচ্ছ ঘটনায় চালককে মারধর করা হয়।
তিনি জানান, এরপর তাকে নজরুল ইসলাম হলে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। এছাড়া প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এই অভিযোগ করে চালক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। একজনের নাম উল্লেখসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা করে আসামি করা হয়েছে। তবে এ মামলায় এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। মামলা নং ২৫, ২৭/৪/২২ বলে থানা থেকে জানা যায়।
এছাড়া ঘটনার বিষয়ে ওয়ারী থানার ফাঁড়ির পুলিশের উপ-পরিদর্শক জহির হোসেন বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় চালককে মারধর করা হয়। বাদী খুব ভয় পেয়ে যান। এমনভাবে মারতে থাকে যেন আর বাঁচবেন না বলে আমাদের কাছে ভীতি প্রকাশ করেন। তিনি রাষ্ট্রপতির ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষারের গাড়ির চালক বলে আমাদের জানায়।
তবে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের কেউ নয় বলে জানান শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, কৌশিক সরকার সাম্য নামের ওই ছেলে ছাত্রলীগের কোনো কর্মী না। সে গত কয়েকটি কোনো অনুষ্ঠানে আসেনি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন, ধানমন্ডি ৩২ এ ফুল দেওয়ার প্রোগ্রামসহ কোনো জায়গায় ছিল না। তবে কোনো শিক্ষার্থী যদি আমার সঙ্গে ছবি তুলতে আসে মানা করা যায় না। সে যদি আসামি হয় তাহলে ছাত্রলীগ এর দায়ভার নেবে না।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ঘটনার বিষয়ে ওয়ারী থানা থেকে শুনেছি। গাড়ির চালক রাষ্ট্রপতির ছেলের ড্রাইভার বলে থানা জানিয়েছে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর কৌশিক সরকার সাম্যকে সাময়িক বহিষ্কার করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এমআরএম/জিকেএস