শাবিপ্রবিতে বন্যার পানি, বিপাকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
সিলেটে টানা বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ি ঢল নামায় আবারও সুরমা নদীর পানি উপচে প্লাবিত নগরীর বিভিন্ন এলাকা। সৃষ্টি হয়েছে নগর জুড়ে ভয়াবহ বন্যা। এবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে গেছে বন্যার পানি। এতে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবনসহ বিভিন্ন জায়গার আশেপাশে পানি প্রবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকাল থেকে ধীরে ধীরে পানি বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার দিকে ক্যাম্পাস হাঁটুপানি পর্যন্ত ওঠে। ফলে গাড়ি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে ক্যাম্পাসে পানি বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে আছেন শিক্ষার্থীরা। এভাবে পানি বাড়া অব্যাহত থাকলে হলের নিচে পানি ওঠে যাবে। চারদিকে লতাপাতা ও ঝোপঝাড় থাকায় সাপ বিচ্ছুর ভয়েও আছেন শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টানা বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে গত ১৪ মে সিলেটে পানি বাড়তে শুরু করে। কয়েকদিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে গত কয়দিন যাবত টানা বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় আবারও সিলেটে পানি বাড়ছে। বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় পানি ঢুকে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ। বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি না ঘটায় এবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকেছে বন্যার পানি। এতে প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য বাইরে যেতে কষ্ট হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।
ক্যাম্পাসে পানি ঢুকে যাওয়ায় শঙ্কা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাইমিনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বন্যার পানি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করায় খুবই শঙ্কিত। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে বাইরে যেতে হলে পানি মাড়াতে হচ্ছে। এছাড়া টানা বৃষ্টিতে বাইরে বের হতে মন চায় না। এভাবে পানি বাড়লে আমরা যারা হলে থাকি তাদের নানা সমস্যায় পড়তে হবে।
বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে পানি ঢুকে যাওয়ায় আমরা সবাই শঙ্কিত। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। যদি পানি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে শুক্রবার এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে পানি বাড়ার ফলে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, এজন্য হলের নিচতলা ছেড়ে ওপরের তলায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার শাবিপ্রবিতে অনুষ্ঠিতব্য ঢাবির ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কোষাধ্যক্ষ বলেন, এ পরীক্ষায় মাত্র ৭৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবেন। যেহেতু সারাদেশে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সেহেতু আমাদের এ পরীক্ষা নিতে হবে। আমরা এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সিলেট কেন্দ্রের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, ক্যাম্পাসে বন্যার পানি ঢুকে যাওয়ায় শুক্রবার ঢাবির ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শাবিপ্রবির একাডেমিক ভবন ‘ই’ তে নেওয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এসজে/এমএস