‘গাফ্ফার চৌধুরী গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও আধুনিকতার জন্য লড়েছেন’
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী শরনার্থী শিবিরে এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রেরণা জুগিয়েছিলেন। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও আধুনিকতার জন্য তিনি লড়াই করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধেও প্রকাশ্যে লিখেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি অডিটোরিয়ামে গৌরব ৭১-এর আয়োজনে প্রয়াত সাংবাদিক ও ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মাদ সামাদ বলেন, গাফফার চৌধুরী জাতির ক্রান্তিলগ্নে মানুষের জ্ঞান চক্ষুকে উন্মীলিত করেছেন। যে জ্ঞান চক্ষু উন্মেলিত করে না, সে জ্ঞান বৃথা। গাফফার চৌধুরী ছিলেন এমনই এক জ্ঞান, যিনি জাতির নানা ক্রান্তিলগ্নে মানুষের জ্ঞান চক্ষুকে উন্মীলিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, সব মানুষই সৎ না হয়ে স্বচ্ছল হতে চায়। জ্ঞান নেই, প্রজ্ঞা নেই কিন্তু মানুষকে ঠকাতে চায়। কিন্তু গাফফার চৌধুরী মাত্র ৭০ টাকায় কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।
এ সময় গাফফার চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মুহাম্মাদ সামাদ বলেন, যারা সামরিক শাসকের সঙ্গে মিলিত হয়েছে, চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে, যারা উপরে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি দেখায় আর ভিতরে চক্রান্ত করে গাফফার চৌধুরী তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে লিখেছেন। সেগুলো থেকে যদি আমরা শিক্ষা নেই, তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রেনেসাঁ, সমৃদ্ধি ও অসাম্প্রদায়িকতার সমাজকে আমরা সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিক স্বদেশ রায় বলেন, শরনার্থী শিবিরে এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় গাফফার চৌধুরী প্রেরণা জুগিয়েছিলেন। গাফফার চৌধুরীর জন্য রাষ্ট্রীয় শোক ও নাগরিক সভা হওয়া উচিত ছিলো। কিন্তু আমরা তা করতে পারেনি। এটি সাংবাদিক হিসেবে আমাকে দুঃখিত করে। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও আধুনিকতার জন্য তিনি লড়াই করে গেছেন।
এ সময় নাট্যকার মামুনুর রশীদ বলেন, এটি একটি ব্যতিক্রম ব্যাপার যে, গাফফার চৌধুরীর মতো একজন সাংবাদিক প্রবাসে বসেও তার দেশকে বুঝতে পারতেন। প্রতি মুহূর্তে হাওয়া কোন দিকে বইছে, তিনি তা বুঝতে পারতেন। যত দিন বাংলা ও বাংলাদেশ থাকবে, তত দিন গাফফার চৌধুরী স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
আল-সাদী ভূঁইয়া/এমপি/জিকেএস