ঢাবিতে তানভীর মোকাম্মেলের চলচ্চিত্র নিয়ে সেমিনার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইংরেজি বিভাগ ও সেন্টার ফর ইংলিশ টিচিং অ্যান্ড রিসার্চের (সিইটিআর) যৌথ উদ্যোগে ‘ইতিহাস পর্যালোচনা: তানভীর মোকাম্মেলের চলচ্চিত্রে ১৯৪৭ এর দেশভাগ’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) ঢাবির আরসি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, বরেণ্য চলচ্চিত্রকার তানভীর মোকাম্মেল তার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনযাত্রা, ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন। এর মাধ্যমে নবীন শিক্ষার্থীরা নিজেদের জ্ঞানের জগতকে সমৃদ্ধ করতে পারবে।
এ ধরনের আয়োজন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অ্যালামনাইদের যোগসূত্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপাচার্য আখতারুজ্জামান।
দেশভাগ নিয়ে তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়, অত্যাচার ও নিপীড়নের কারণে বাঙালির মনে গভীর অবিশ্বাস ও অসন্তুষ্টির জন্ম নেয়। যার ফলে ভাষা আন্দোলনসহ নানা আন্দোলন সংগ্রাম সংঘটিত হয়।
‘এরই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। তানভীর মোকাম্মেলের চলচ্চিত্রে এসব ঘটনাই উঠে এসেছে।’
এ সময় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে সম্পৃক্ত করে ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপাচার্য ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। তিনি বলেন, মানুষের জীবন সংগ্রাম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী মাধ্যম। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজেই এ দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মানুষের জীবন এবং সংগ্রামের ইতিহাস জানতে পারে।
সেমিনারে একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ও ঢাবির ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী তানভীর মোকাম্মেল তার চলচ্চিত্রে ১৯৪৭ সালের দেশভাগের ইতিহাস নিয়ে অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপন ও পর্যালোচনা করেন।
অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন সিইটিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. তাজিন আজিজ চৌধুরী। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাবির ইংরেজি বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. নেভিন ফরিদা।
আল সাদী ভূঁইয়া/এমপি/এএসএম