ছাত্রলীগের কমিটিতে ‘বিবাহিত’ প্রমাণ হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা: লেখক
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেছেন, ছাত্রলীগের কমিটিতে বিবাহিত অভিযোগের প্রমাণ থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
শনিবার (১৪ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে বের হয়ে জাগো নিউজকে তিনি এ কথা বলেন৷
ইডেন কলেজের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, ইডেন কলেজে যারা বিক্ষোভ করেছে তাদের কী দাবি, তারাই জানে না। তারা বলছে মানি না, মানি না। কী মানে না, জানি না জানি না। তাদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগই আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে অন্তত জানা যেত তারা কেন বিক্ষোভ করেছিল।
ইডেন কলেজের সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার পূর্বে কোনো পদ ছিল না। পূর্বে পদ না থাকা কেউ হঠাৎ করে শীর্ষ পদে আসতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, দিতে গঠণতান্ত্রিক তেমন কোনো বাধা নেই।
তার কথার সঙ্গে যোগ করে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, সে গাজীপুর জেলার সহ-সম্পাদক ছিল।
বয়স উত্তীর্ণ কেউ কমিটিতে আসতে পারবে কি না এ বিষয়ে লেখক ভট্টাচার্য বলেন, সম্মেলনের দিন কারো বয়স থাকলে সে পদে আসতে পারে।
গতকাল (শুক্রবার) রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, গভ. কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স (হোম ইকনোমিক্স কলেজ) কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়৷ এতে ইডেন কলেজের কমিটিতে বিবাহিত, বয়স বেশিসহ বিতর্কিতরা পদ পেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে৷ কমিটি ঘোষণার পর ইডেন কলেজে বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগের একাংশ৷
এছাড়া বিবাহিত হয়ে ছাত্রলীগের পদ পেলেন কীভাবে, তা জানতে চাওয়ায় জাগো নিউজের প্রতিবেদককে গালিগালাজ করেন ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুস্মিতা বাড়ৈ৷
আল সাদী ভূঁইয়া/নাহিদ হাসান/এমএইচআর/জেআইএম