মেট্রোরেলের পক্ষে-বিপক্ষে ঢাবিতে মানববন্ধন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝ দিয়ে মেট্রোরেলের রুট পরিবর্তনের দাবিতে পক্ষে-বিপক্ষে মনববন্ধন চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝ দিয়ে মেট্রোরেলের রুট না নেয়ার দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের এক পাশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আর অন্যপাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রুটের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন চলছে।
অভিযোগ ওঠেছে ছাত্রলীগের নেতারা মেট্রোরেলের রুট বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝ দিয়ে নিতে এ মানববন্ধন করতে বাধ্য করছে চৈতালী, ক্ষণিকা, বৈশাখী, ফল্গুনীসহ বিশ্ববিদ্যালয়েল বিভিন্ন রুটের বাসের শিক্ষার্থীদের।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা মেট্রোরেলের বিরোধী নয়। আমরা মেট্রোরেলের পক্ষে তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝ দিয়ে মেট্রোরেল আমরা চাই না। আমরা বিকল্প রুট চাই। আমরা কখনো উন্নয়নের বিরোধী নয়। যদি আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নষ্ট হয় তাহলে এ উন্নয়ন আমরা চাই না।
তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝ দিয়ে মেট্রোরেল হলে আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যগুলো নষ্ট হবে। নষ্ট হবে চারুকলা, রাজু ভাস্কর্য, তিন নেতার মাজার, দোয়েল চত্বরের মতো স্থাপনাগুলো। টিএসসি হারাবে তার সাংস্কৃতিক বলয়। বহিরাগতদের আনাগোনায় নষ্ট হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ।
এসময় ‘ঢাবির বুক চিরে, মেট্রোরেল হবে না’, দাবি মোদের একটায়, বিকল্প রুট চাই’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো টিএসসি এলাকা।এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি বিশাল মিছিল টিএসসি থেকে কলভবন, লাইব্রেরি এলাকা ঘুরে টিএসসিতে এসে শেষ হয়।
এদিকে মেট্রোরেলের রুট বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝ দিয়ে নিতে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন করে বিভিন্ন রুটের বাসের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে অংশ নেয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থী যারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে থাকেন তারা অনেক সময় যানযটের কারণে ক্লাসে সময় মতো উপস্থিত হতে পারে না । মেট্রোরেল হলে তাদেরকে এ সম্যসার সম্মুখীন হতে হবে না।
কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জাগো নিউজকে জানান, হল থেকে তাদের জোর করে এ মানববন্ধনে নিয়ে আসছেন হলের নেতারা। তাই বাধ্য হয়েই এ মানববন্ধনে আসছেন। তারাও মেট্রোরেল চান না। শুধু তাই নয়, এদের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতাদেরও কিছু করার নেই ওপর থেকে চাপ থাকায় তাদের এ মানববন্ধনে অংশ নিতে হচ্ছে।
এমএইচ/এআরএস/পিআর