রাবি ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতির কক্ষ তল্লাশি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি এম মিজানুর রহমান রানাসহ তার অনুসারীদের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যের খালি বোতল ও লাপ টেপ জড়ানো বোমাসদৃশ সার্কিট উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসানের নেতৃত্বে ওই কক্ষগুলোতে তল্লাশি করা হয়।
বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান রানাসহ তার অনুসারীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২২১, ২২২, ২২৪, ২৩২ ও ২৩৩ নম্বর কক্ষগুলোতে থাকতেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই কক্ষগুলো থেকে মিজানুর রহমান রানাসহ তার অনুসারীদের ফেলে যাওয়া লেপ, তোষক, কাপড়, মশারি প্রভৃতি প্রক্টরের নির্দেশে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এ সময় ওই কক্ষগুলোতে প্রচুর পরিমাণ মাদকের খালি বোতল পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তল্লাশি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়েল প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২২১, ২২২, ২২৪, ২৩২ ও ২৩২ নং রুমগুলোতে মিজানুর রহমান রানা ও তার অনুসারীরা থাকতো। গত রাতে তারা হল ত্যাগ করে এবং যাওয়ার সময় কিছু জিনিপত্র বাইরে ফেলে রেখে যায়।
তিনি বলেন, কক্ষগুলোতে গিয়ে একজন শিক্ষার্থীদের কোনো পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়নি। তাদের কক্ষগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের মাদকের খালি বোতল পাওয়া গেছে। ছাত্রনেতাদের রুম থেকে মাদকের বোতল পাওয়া দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, ২২২ নং কক্ষ থেকে বোমাসদৃশ্য লাপ টেপ জড়ানো বোমাসদৃশ একটি সার্কিট পাওয়া গেছে। তবে কক্ষগুলো থেকে কোনো অবৈধ অস্ত্র পাওয়া যায়নি।
তবে হলের ওই কক্ষগুলোতে নতুন করে কোনো শিক্ষার্থীদের উঠানো হবে কিনা জানতে চাইলে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আশরাফ উজ জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে হল প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে শনিবার রাতে মিজানুর রহমান রানাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের পর পরই এদিন রাত ৩টায় গোপনে তিনি তার সহযোগীদের নিয়ে হল ছেড়ে চলে যান। এরপর হলের ২২১, ২২২, ২২৪, ২৩২ ও ২৩৩ নম্বর কক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রশাসন গিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুর ৩টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মিজানুর রহমান রানার অনুসারীরা ছাত্রলীগ কর্মী অনিক মাহমুদ বনিকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এদিনই রানাকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
রাশেদ রিন্টু/এসএস/এমএস