ছাত্রলীগ নেতাকে ‘তুমি’ বলায় শিক্ষার্থীকে মারধর

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক
ক্যাম্পাস প্রতিবেদক ক্যাম্পাস প্রতিবেদক কুবি
প্রকাশিত: ০২:৫১ এএম, ২২ মার্চ ২০২২
অভিযুক্ত ওয়াকিল আহমেদ ও ভুক্তভোগী আনিছুর রহমান

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকে চিনতে না পেরে ‘তুমি’ বলে সম্বোধন করায় মার্কেটিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়েছেন। সোমবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ওয়াকিল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের সেলিম মিয়ার দোকানে চা পান করতে যান। ওই সময় মার্কেটিং বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আনিছুর রহমানও সেখানে গেলে তার পরিচয় জিজ্ঞাস করেন ওয়াকিল। পরিচয়ের একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকে চিনতে না পেরে তুমি বলে সম্বোধন করেন আনিছুর।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওয়াকিল ও তার বন্ধুরা আনিছুরকে দোকানের পেছনে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। মারধরের একপর্যায়ে আনিছুরের চোখে আঘাত করেন ওয়াকিল। পরে চিৎকার শুনতে পেয়ে ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা এসে উদ্ধার করে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আনিছুর রহমান বলেন, আমাকে ওয়াকিল ভাই পরিচয় জিজ্ঞাস করলে আমি আমার পরিচয় দিই। পরে মিরাজ নামে একজনের কথা জিজ্ঞেস করলে, আমি বলি মিরাজ কি তোমার বন্ধু? এতে আমার সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে ডেকে নিয়ে আমাকে মারধর শুরু করে।

তবে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ওয়াকিল আহমেদ বলেন, ওই ছেলে সিগারেট খেয়ে আমার মুখের ওপর ধোঁয়া ছাড়ে। আমি এর প্রতিবাদ করলে আমাকে মা-বাবা তুলে গালি দেয়। এসময় তার সঙ্গে হাতাহাতি হয়। চোখে আঘাতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারপরে কী হয়েছে আমি জানি না। সে হয়তো দৌড়ে পালাতে গিয়ে চোখে ব্যথা পেয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধর করা অন্যায়। বিষয়টি জেনে আমরা সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে আমরা আগামীকাল (মঙ্গলবার) প্রক্টরিয়াল টিম বসে ব্যবস্থা নেবো।

কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমি প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলেছি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে দেখতে হাসপাতালে যেতে বলেছি। প্রক্টর বিষয়টি জেনে রিপোর্ট দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

এমআরআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।