জবিতে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ : দোটানায় শিক্ষার্থীরা


প্রকাশিত: ০১:৪১ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৬

অষ্টম বেতন কাঠামো পুনর্বিবেচনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন-কাঠামোর দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষকদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের ক্লাসসহ মিডটার্ম এবং সেমিস্টার ফাইনাল উভয় পরীক্ষা বর্জন করেছেন শিক্ষকরা। এতে দোটানায় পড়েছেন পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, এই আন্দোলনের নামে ছুটি কাটাচ্ছেন অনেক শিক্ষক। এ কারণে আন্দোলনে শিক্ষকদের উপস্থিতি খুব একটা চোখে পড়েনি।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী জোবায়ের আহমেদ ইমন জাগো নিউজকে জানান, বৃহস্পতিবারে আমাদের ‘গণমাধ্যম গবেষণা ও সাংস্কৃতিক মূল্যায়ণ’ কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শিক্ষকদের এই আন্দোলনের কারণে আদৌ পরীক্ষাটি হবে কি না তাতে সন্দেহ রয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিভাগ থেকেও শিক্ষার্থীদের হ্যাঁ বা না কিছুই বলা হচ্ছে না। এতে দোটানার ম্যধ্যে রয়েছি আমরা। তাছাড়া রোববারে আরেকটি পরীক্ষাও রয়েছে এখন আমরা বৃহস্পতিবারের পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার পর পরীক্ষা যদি না হয় তাহলে রোববারের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে সমস্যা হবে। যা আমাদের রেজাল্টের ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

মনোবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান শাকিল বলেন, চলতি মাসেই তাদের সেমিস্টার ফাইনাল শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শিক্ষকদের এই আন্দোলনের ফলে পরীক্ষা শুরু হওয়া নিয়েই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, এমনিতেই সেশনজটে আছি তার মধ্যে আবার এই আন্দোলন নতুন করে আবার সেশনজটে ফেলবে।

এর আগে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত জবি শহীদ মিনারের সামনে কর্মসূচী পালন করেন শিক্ষকরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষকের মধ্যে মাত্র ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষককে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।

এসময় জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন বলেন, আমাদের আন্দোলন ন্যায্য। আন্দোলন শুরু হয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে দাবি মেনে না নেয় এই আন্দোলন লাগাতার চলবে।

শিক্ষকদের উপস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতিদিন তিন শতাধিক শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। তবে তাদের অনেকেই প্রশ্নপত্র তৈরি, খাতা মূল্যায়ণ ও মডারেশনসহ বিভিন্ন কাজ করেন। এজন্য উপস্থিতি কম।

এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক অভিযোগ করে জাগো নিউজকে বলেন, আন্দোলনের নামে অধিকাংশ শিক্ষকই ছুটি কাটাচ্ছেন। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করলে আন্দোলন বিফল হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

এসএম/এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।