রাবির জিয়া হলে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলে থাকা অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বের করে আবাসিক শিক্ষার্থীদের তুলে দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করেন হল প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন। তার সঙ্গে ছিলেন হলের আবাসিক শিক্ষকরাও।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি শহীদ জিয়াউর রহমান হলে নতুনভাবে সিট বরাদ্দের তালিকা প্রকাশ করা হয়। অনেক শিক্ষার্থী সিট বরাদ্দ পেয়েও হলে উঠতে পারছিল না। কারণ, হলের সিটগুলোতে অবস্থান করছেন অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা। কিছু শিক্ষার্থী সিটে অবস্থান করলেও হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জোর করে তাদের নামিয়ে দেন।
শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে হল প্রশাসন। অনাবাসিক এসব শিক্ষার্থীদের বের করে বৈধ সিট প্রাপ্তদের হলে তুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের পরীক্ষা চলমান তাদের দুদিনের মধ্যেই রুম ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
হল প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রসেনজিৎ বলেন, ‘আমরা অনেকেই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ শিক্ষার্থী। প্রশাসনের এমন উদ্যোগ ছাড়া হলে ওঠা আমাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব ছিল। আমি চাই এমন উদ্যোগ জিয়া হলে সীমাবদ্ধ না থেকে রাবির প্রত্যেকটি হলেই অব্যাহত থাকুক।’
এ বিষয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সুজন সেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা হল প্রশাসন একটি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হলে শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ দিয়েছি। হলে সব বরাদ্দপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর আবাসনসহ সব সুবিধা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমরা সেই আবাসনের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের হলে তুলছি। হলে অবৈধভাবে কেউ থাকতে পারবে না। যারা এখন পর্যন্ত হলে অবৈধভাবে অবস্থান করছে তাদের কক্ষ পরিদর্শনের মধ্যমে আবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করছি। যতদিন পর্যন্ত আবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করতে পারছি না, ততদিন পর্যন্ত আমাদের এ অভিযান চলবে।
তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে যাদের আবাসন নিশ্চিত করেছি, তাদের পরবর্তীতে যদি আসন সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হয় আমরা সেই বিষয়টিও নজরে রাখবো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের এ পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে। এ অবস্থার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এসজে/জিকেএস