নতুন প্রজন্মই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে : শিক্ষামন্ত্রী


প্রকাশিত: ১২:৫৫ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০১৬

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, নতুন প্রজন্মই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার কাজ করছে। এজন্য সরকার যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্বমানের শিক্ষা পদ্ধতি তৈরি করেছ।

রোববার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে সম্মান প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন শতকরা ৯ ভাগ শিশু স্কুলের বারান্দায় যায়নি। যারা যেত তাদের মধ্যে শতকরা ৪৮ ভাগ পঞ্চম শ্রেণি পাশ এবং ৪২ ভাগ নবম শ্রেণি পাশ করার আগেই ঝরে পড়তো। এ হার এখন অনেক কমেছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০১৫ সালের মধ্যে শতকরা ৯৯ ভাগ শিশুকে স্কুলে আনতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমিকে ঝরে পড়া কমাতে আমরা উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছি।

শাবি উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাহমিনা ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজাই করিম খন্দকার, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামাল আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আজকে আমাদের দেশে ৩৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৮০টির অধিক। এর মধ্যে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ধনীরা মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করছে। দু-একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে সার্টিফিকেট বিক্রি করছে। সেখান থেকে ২০১০ সালে নতুন আইন করে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজস্ব ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। আমরা বাধ্য হয়েছি ১৪-১৫টা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে। কিন্তু উচ্চ আদালতের রায়ে তারা এখনো টিকে আছে। রায়ের ফয়সালা হয়ে গেলে তারা টিকে থাকতে পারবেনা। ওই রকম বিশ্ববিদ্যালয় চাইনা যারা মুনাফা লুটের জন্য আসবে। শিক্ষায় মুনাফা লুটের সুযোগ নাই।

শিক্ষামন্ত্রী শাবির বিভিন্ন উদ্ভাবনের প্রশংসা করে বলেন, এটি দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। ইতোমধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২১৮ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্প পাশ হলে নতুন একাডেমিক ভবন, শিক্ষার্থীদের জন্য একাধিক হল, গবেষণাগার ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আমিনুল হক ভূঁইয়া বলেন, পরিবারের গণ্ডির বাইরে আজ থেকে তোমাদের স্বাধীন জীবন শুরু হলো। যারা এ স্বাধীনতার সদ্ব্যবহার করবে তারাই সফল হবে। তোমাদের মধ্যে ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী, সমাজ সংস্কারক, বুদ্ধিজীবী এবং দেশের কর্ণধার লুকিয়ে আছে। ভবিষ্যতের যোগ্য নাগরিক হিসেবে তোমাদেরকে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে মন দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষদের ডিন,বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শুরুর আগে নবীণ শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র, সিলেবাস, মাইগ্রেশন ফর্ম এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র দেয়া হয়।

আব্দুল্লাহ আল মনসুর/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।