সহপাঠীর ‘গায়ে হাত তোলায়’ ৯ বাস আটকালেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক
ক্যাম্পাস প্রতিবেদক ক্যাম্পাস প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১১ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২

গণপরিবহনে ‘হাফ-পাস’ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ঢাকা কলেজের তিন শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ‘মিরপুর মেট্রো সার্ভিস’ পরিবহনের নয়টি বাস আটক করে রেখেছেন বিক্ষুদ্ধ সহপাঠীরা।

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে মিরপুর রোড থেকে আসা এ বাসগুলো আটক করেন তারা। এরপর আটক বাসগুলো কলেজের পাশের নায়েমের গলিতে রাখা হয়।

শিক্ষার্থীরা জাগো নিউজকে জানান, বিকেল তিনটার দিকে রাজধানীর শ্যামলী বাস স্ট্যান্ড এলাকায় হাফ ভাড়া নিয়ে বাসের সহকারীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে ওই বাসে থাকা ঢাকা কলেজের তিন শিক্ষার্থী আহত হন। তারা হলেন- সোহাগ হোসেন, আশফাক ও অমিত। তিনজনই কলেজের দক্ষিণ ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী।

এছাড়াও বাসে হাতাহাতির এক পর্যায়ে বাসটির চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে ওই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকা দুটি স্মার্টফোন এবং নগদ পাঁচ হাজার টাকা জোর করে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

মারধরের শিকার শিক্ষার্থী আশফাক হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমরা হাফ ভাড়া দিতে চাওয়ায় কথা-কাটাকাটির জেরে আমাদের ওপর চড়াও হন বাসের সহকারী এবং চালক। এসময় আমাদের সঙ্গে থাকা দুটি স্মার্টফোন এবং নগদ পাঁচ হাজার টাকা তারা ছিনিয়ে নেন। মারধরের কারণে আমরা শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছি। এরপর শ্যামলী বাস স্ট্যান্ডে গাড়ি থামিয়ে অন্য বাসের সহকারীদের ডেকে আমাদের ওপর হামলা করে।

আটক বাসগুলোর এক চালক আব্দুল খালেক জানান, যে বাসের স্টাফ মারামারির সঙ্গে জড়িত তারা সরে গেছে। আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানি না৷ কলেজের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। শিক্ষার্থীরা বাস আটকে আমাদের এখানে বসিয়ে রেখেছে।

এ বিষয়ে নিউমার্কেট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাহেব আলী জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাটি শ্যামলী এলাকার। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা এখানে বাস আটক করেছেন। আমরা খবর পেয়ে এসেছি এবং কলেজ প্রশাসন ও মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।

ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার বলেন, কলেজের সামনে দিয়ে যে বাসগুলো চলাচল করে তাদের স্টাফরা একের পর এক শুধু ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নয়, অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করছে, সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে ৷ বিষয়টি উদ্বেগের ৷ আমরা আগেই বলেছি, বাসের চালক ও সহকারীদের আচরণ পরিবর্তনে প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। তা না হলে আগামীতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ৷

তবে আজকের বাস আটকের বিষয়ে কিছু জানা নেই বলে জানান তিনি।

নাহিদ হাসান/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।