তদন্ত ছাড়াই উপাচার্যের অপসারণ চান শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অপসারণে কোনো ধরনের তদন্ত কমিটি চান না আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় একমাত্র উপাচার্যই দায়ী। এজন্য উপাচার্যকে অপসারণে তদন্ত কমিটির প্রয়োজন মনে করছেন না শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় অনশনস্থলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের ওপর হামলার ঘটনার জন্য একমাত্র উপাচার্যই দায়ী। তার নির্দেশেই হামলা হয়েছে। পুলিশ হামলার করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিল।
উপাচার্যকে অপসারণের আগে তার জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাষ্ট্রপতি কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করুক, সেটা তারা চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের কাছে স্পষ্ট যে উপাচার্যের মদদেই পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমরা তাই উপাচার্যের অপসারণ চাই। অপসারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা রাষ্ট্রপতি কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করুক তা আমরা চাই না।’
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। এসময় কোষাধ্যক্ষ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য আমরা সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এ ক্যাম্পাসে যাতে আর এ ধরনের ঘটনা না ঘটে আমরা সে পরিবেশ নিশ্চিত করবো। আমরা এ ব্যাপারে আলোচনা করে সমাধানে যেতে চাই।’
কোষাধ্যক্ষের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, ‘এখন আর আলোচনায় বসার সুযোগ নেই। যে উপাচার্য পুলিশকে গুলি করার অনুমতি দেন তিনি আর এই পদে থাকার অধিকার রাখেন না।’
কয়েক দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে অনশনে বসেছেন ২৪ শিক্ষার্থী। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটকের সামনে অনশন শুরু করেন তারা। তারা এ হামলার জন্য উপাচার্যকে দায়ী করে তার অপসারণ দাবি করছেন।
মোয়াজ্জেম আফরান/এসআর/এএসএম