২৮ ডিসেম্বরকে বিশ্ব চলচ্চিত্র দিবস ঘোষণার প্রস্তাব
২৮ ডিসেম্বরকে বিশ্ব চলচ্চিত্র দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভার কাছে প্রস্তাব করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় বিশ্ব চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি প্রস্তাব করেন।
অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্রর ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা হারুন অর রশিদ, আজিজুর রহমান ও ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাদির জুনায়েদ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের উপর প্রবন্ধ পাঠ করেন ড. নাদির জুনায়েদ।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক দিন নির্ধারণ করার দায়িত্ব থাকে মূলত জাতিসংঘ ও তার স্পেসালাইজড এজেন্সির ওপর। আমার মনে হয় বিশ্ব চলচ্চিত্র দিবস নির্ধারণ করার দায়িত্ব ইউনেস্কোর ওপর পড়ে। তাই ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভার সঙ্গে সরকারি মাধ্যেমে যোগাযোগ করলে তিনি ২৮ ডিসেম্বরকে বিশ্ব চলচ্চিত্র দিবস হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন।
আন্তঃসরকারি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইরিনা বোকোভরে সঙ্গে যোগাযোগ করে তার কাছে প্রস্তাব পাঠালে তিনি গ্রহণ করবেন বলে আশা ব্যক্ত করে উপাচার্য বলেন, এ দেশের সঙ্গে তার সর্ম্পক আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ আছে। তিনি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রিও অর্জন করেছেন এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তাই তিনি বাংলাদেশ সরকারকে তার নিকট প্রস্তাব পাঠানোর উদ্দ্যোগ নিতে আহ্বান জানান।
চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, চলচ্চিত্র একবিংশ শতাব্দীর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শিল্প মাধ্যম, তথ্য মাধ্যম, বিনোদন মাধ্যম। যার ভাষা আন্তর্জাতিক। চলচ্চিত্রের ভাষার মধ্যে যে আন্তর্জাতিকতা রয়েছে, তার কারণেই আমরা যেকোনো ভাষার চলচ্চিত্র বুঝতে পারি। চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত সকল মানুষ। এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না যে চলচ্চিত্রকে ভালোবাসেন না, চলচ্চিত্র দেখেন না।
তিনি বলেন, ৩৬৫ দিনের মধ্যে প্রতিটি দিনই কোনো না কোনো আন্তর্জাতিক দিবস রয়েছে। এমনকি একটি দিনে একই সঙ্গে দুটি বা তিনটি দিবসও পালন করা হয়ে থাকে।
ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, চলচ্চিত্র শিক্ষা বিস্তার করে। চলচ্চিত্র সচেতনতা সৃষ্টি করে। চলচ্চিত্র অন্ধত্ব কুসংস্কারে বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। চলচ্চিত্র আমাদের জীবন-জগতকে ধারণ করে। তাই চলচ্চিত্র আধুনিক মননের আঁধার। চলচ্চিত্র আধুনিক বিকাশের উৎস ধারা।
এমএইচ/এসকেডি/বিএ