উত্তরপত্র মূল্যায়নে অসঙ্গতি, যবিপ্রবি শিক্ষকের পদাবনতি
শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে অসঙ্গতি সংক্রান্ত শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রমাণ হওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের শিক্ষক সম্রাট কুমার দে-কে সহকারী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে অবনমন করা হয়েছে।
শনিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৭২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
শিক্ষক সম্রাট কুমার দে আগামী দুই বছর সহকারী অধ্যাপকের জন্য পদন্নোতির আবেদন করতে পারবেন না বলে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভার শুরুতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সবশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীও যেনো ঝরে না পড়ে এবং কোনো ক্লাস মিস না করে, এজন্য শারীরিক ও ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি ‘ব্লেন্ডেড লার্নিং সিস্টেম’ চালু করবো। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬টি বিভাগে ডিজিটাল ক্লাসরুম স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করি, এ পদ্ধতিতে আমরা শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিবান্ধব, দক্ষ, যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, গবেষণা প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে স্কোপাস ইনডেক্সে ৩৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশের মধ্যে যবিপ্রবি এবারও প্রথম স্থান অর্জন করেছে। আমাদের গবেষণা কর্মের ৪২.৬ শতাংশ কিউ-১ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এবং দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে সাইটেশন ইম্প্যাক্টে আমরা বর্তমানে তৃতীয় অবস্থানে আছি।
সভায় যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন-৩) সৈয়দা নওয়ারা জাহান, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ, পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম আসাদুজ্জামান, যশোর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, রিজেন্ট বোর্ডের সচিব ও যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইউএইচ/এমএস