ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা রাবিতে, বাড়তি চাপ ট্রেনে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমার সঙ্গে সঙ্গে সেপ্টেম্বরের প্রথমদিক থেকেই বাড়তে থাকে ট্রেনযাত্রায় চাপ। এর মধ্যে আবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শুক্রবার (১ অক্টোবর) থেকে আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে ঢাকা ইউনিভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে রাজশাহী রেলওয়েতে গত এক সপ্তাহে বেশ চাপ বেড়েছে চাপ।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে কথা হয় রাজশাহী স্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী মো. আব্দুল মোমিনের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, রাবিতে পরীক্ষা নেওয়া উপলক্ষে ঢাকা থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী প্রতিটি ট্রেনে একটি করে শোভন চেয়ারের অতিরিক্ত বগি যুক্ত হবে, যার আসন সংখ্যা ১০৫টি। আবার ২ অক্টোবর থেকে প্রতিটি ট্রেনে একটি অতিরিক্তি এসি চেয়ারের বগি যুক্ত হবে। এর ফলে আসন বাড়বে আরও ৭৮টি। প্রতিটি ট্রেনে মোট আসন সংখ্যা বাড়বে ১৮৩টি করে। এ বাড়তি আসন সংখ্যাসহ ট্রেন চলবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত।
তিনি আরও বলেন, আগামী রোববার থেকে সিল্কসিটি ট্রেনের ‘অফ ডে’ স্থগিত করা হয়েছে। রাজশাহী থেকেও যদি একই চাপ থাকে তবে এখান থেকেও ‘অফ ডে’ তুলে দেওয়া হবে। তারপরও যদি আসন সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন পড় তবে আরও একটি এসি কেবিন কোচ যুক্ত করা হবে, যার আসন সংখ্যা হবে ৪৮টি। এ বিষয়ে আমরাও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সূত্রে জানা গেছে, ১ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। প্রথমদিন ১৪ হাজার ৩৪৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন।
অন্যদিকে, ২ অক্টোবর একই সময়ে ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষা নেওয়া হবে। ‘খ’ ইউনিটে পরীক্ষার্থী আছেন ছয় হাজার ৩৭১ জন। এছাড়া ৯ অক্টোবর শনিবার ‘চ’ ইউনিটে ১ হাজার ৫৭৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
আবার, ২২ ও ২৩ অক্টোবর যথাক্রমে ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘গ’ ইউনিটে ১ হাজার ৮২৪ জন ও ‘ঘ ইউনিটে ১২ হাজার ১ জন শিক্ষার্থী রাবি কেন্দ্রে অংশ নেবেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রোফেসর তারেক নূর জানান, রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া ও থাকার বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও সিটি মেয়রের কার্যালয়ের সঙ্গে সভা হয়েছে। সেখানে যাতায়াতের বিষয়টিও উপস্থাপন করা হয়েছে। এই সভার পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আসন সংখ্যা বাড়ানোসহ সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
বাড়তি চাপ ও পূর্ব প্রস্তুতির বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (সিসিএম) আহসান উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য চাপ বেড়েছে। তবে এ নিয়ে আমরা বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে সিল্কসিটি ও তিতুমীর এক্সপ্রেসের ‘অফ ডে’ বাতিল করা হয়েছে। এতে বাড়তি দুদিনে চারটি ট্রেন চলবে। এতে চাপ কিছুটা কমবে। তাছাড়া যাত্রীদের সুবিধার্থে টিকিটের ৫০ শতাংশ কাউন্টারে ও বাকি ৫০ শতাংশ অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।
‘অফ ডে’ বন্ধের কারণে ইঞ্জিনের সমস্যা হওয়ার কোনো আশঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে আমাদের প্রায় ৪০টি ট্রেন চলে। ঢাকার দিকে চলে ১৩টি। প্রয়োজনে ১৮টি চালাতে পারবো। তবে কোচের সংখ্যা বাড়ালে এসবের প্রয়োজন হবে না। তাছাড়া আমাদের ইঞ্জিনগুলো নতুন। যার ফলে তেমন সমস্যা হবে না বলে আশা করা যায়।
ইএ