রাবিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের মানববন্ধন


প্রকাশিত: ০২:৩১ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ও যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে শাস্তির দাবি করে মানববন্ধন করেছে রাবি শাখা ছাত্রলীগ।

রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে তারা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

তবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা এ অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি করেন অভিযুক্ত ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম রফিকুল ইসলাম। অভিযোগকারী ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিভাগের (উর্দু) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

এটিএম রফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রগতিশীলতার মুখোশধারী এসব শিক্ষক যেসব অবমাননাকর আচরণ করছে তা প্রগতিশীলতার ক্ষেত্রে বাধা। ওই শিক্ষকের বহিস্কার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা, সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাইদুল ইসলাম রুবেল, রাবি শাখা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মর্তুজা, রাবি শাখা বঙ্গবন্ধু প্রজম্মলীগের সভাপতি সবুজ সারোয়ার প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে ওই ছাত্রী লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে আবেদন করেন।

লিখিত অভিযোগে ওই ছাত্রী জানান, গত ২৩ নভেম্বর আমি হলের রুমে সিটের জন্য প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে যাই। সেখানে হলের আবাসিক শিক্ষক রফিকুল ইসলামও ছিলেন। প্রথমে তারা আমার অ্যাকাডেমিক পরিচয় জনতে চান। আমি আমার অ্যাকাডেমিক পরিচয় প্রদান করলে তারা সিট দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমি আমার সাংগঠনিক পরিচয় প্রদান করি। তারপর রফিকুল স্যার আমাকে এবং আমার ঐতিহ্যবাহী সংগঠন সম্পর্কে প্রাধ্যক্ষের সামনেই কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। আমি তাদের ব্যবহারে মনক্ষুণ্ন হলে প্রাধ্যক্ষ ম্যাডাম আমাকে হলের সিটের জন্য আবেদন পত্র লিখতে বলে।

এরপর ১৬ ডিসেম্বর র্যালি শেষ করে হলে ফিরতে দেরি হয় এবং হল গেটে রফিকুল ইসলাম স্যার আমাকে প্রাধ্যক্ষের রুমে দেখা করতে বলেন। আমি রুমে গেলে প্রথমেই তিনি আমাকে বলেন, শুধু ছাত্রলীগ করলেই কি হলে সিট হবে? হলে সিটের জন্য আমাদের কাছে আসতে হবে। এসময় তার কথাবার্তা এবং শারীরিক প্রকাশভঙ্গি ছিল আপত্তিকর ও অশোভনীয়।

তবে সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা উল্লেখ করে রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই ছাত্রী ছাত্রলীগকর্মী পরিচয়ে হলে সিট দাবি করলে প্রক্রিয়া অনুযায়ী তাকে আবেদন করতে বলেছিলাম। তারপর আর কোনো কথা ওই মেয়ের সঙ্গে হয়নি। এ অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাবি ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ওই হলের আবাসিক ছাত্রী ইসরাত জাহান নিপা বলেন, মানববন্ধন হওয়ার পর এ বিষয়টি শুনলাম। আমাদের হলে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

রাশেদ রিন্টু/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।