ঝোপঝাড়ে ছেয়ে গেছে ইবি, সাপ-আতঙ্কে শিক্ষার্থী
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিভিন্ন বিভাগে সশরীরে অনার্স ও মাস্টার্সের চূড়ান্ত ও মানোন্নয়ন পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসও আগের নিয়মেই চলছে। ফলে ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনাগোনা বেড়েছে। তবে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অনেক ঝোপঝাড় থাকায় শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে। তাদের মধ্যে সাপ-আতঙ্ক বিরাজ করছে।
করোনা বিপর্যয়ের কারণে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গতবছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। তবে চালু রয়েছে অফিসিয়াল কার্যক্রম। আবাসিক হলের কার্যক্রমও চালু রয়েছে। আবাসিক এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পরিবারসহ অবস্থান করছেন করোনাকালীন দুর্যোগের শুরু থেকেই। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত আনসার সদস্যরাও রাতদিন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সবমিলিয়ে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও ক্যাম্পাসের সড়কগুলোতে লোকজনের সরব উপস্থিতি ছিল।
সম্প্রতি একাডেমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা বেড়েছে। পরীক্ষার সময় ছাড়াও তারা বিকেল ও রাতে ক্যাম্পাসে ঘুরতে বের হন। কিন্তু করোনাকালে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় ঝোপঝাড়ে ভরে গেছে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে সাপ-আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সোহের রানা জাগো নিউজকে বলেন, রাতে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করতে ভয় পাই। চারদিক ঝোপঝাড় থাকায় সাপের আতঙ্কটা বেশি অনুভব করি। বড় দুর্ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাস পরিষ্কার করা জরুরি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। তবে কাজের জন্য প্রশাসন থেকে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না থাকায় আমরা পুরোপুরি কাজে নামতে পারছি না। কেন্দ্রীয়ভাবে এ বিষয়ে একটি কমিটি হলে আমাদের আর্থিক সংকট দূর হতো এবং সব সমস্যার সমাধান হতো।
টিকা নিশ্চিত করে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে জরুরিভিত্তিতে ক্যাম্পাস ঝোপঝাড় মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রায়হান মাহবুব/এসআর/এএসএম