অপহৃত রুয়েট শিক্ষার্থীকে মুক্তি দিতে চাঁদা দাবি


প্রকাশিত: ০১:২৭ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক শিক্ষার্থীকে অপরহণের পর তাকে মুক্তি দিতে চাঁদা দাবি করা হয়েছে বলে জানান অপহৃতের শ্বশুর। অপহরণ হওয়া শিক্ষার্থী মো. সাইফুজ্জামান সোহাগের শ্বশুর রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স আ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক শেখ রেজাউর রহমান জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমার কাছে দুপুর ১টার দিকে অজ্ঞাত নম্বর থেকে একটি ফোন আসে। ফোনে আমাকে বলা হয়, ‘আপনি কি আপনার জামাইকে ফেরত পেতে চান?` আমি বলি, অবশ্যই। তারপর ফোনের ওপার থেকে আমাকে বলা হয়, তাহলে আপনাকে এইজন্য কিছু খরচাপাতি করতে হবে। আমাকে বলা হয় সোহাগকে পেতে চাইলে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘এরপর আমার ফোনে আর একটি ফোন আসায় তার সঙ্গে কথা বলতে বলতে ফোনটি কেটে যায়।

তবে পুলিশকে জানিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কিছুক্ষণ পর র্যাব ও পুলিশকে জানাবো। এবং তাদেরকে মোবাইল নম্বরটি দিয়ে মামলা করবো।

একই ঘটনা সোহাগের শ্বশুরের বরাত দিয়ে জাগো নিউজকে বলেন তার বাবা আক্কাস উজ জামান।

অপহরণ হওয়া শিক্ষার্থী মো. সাইফুজ্জামান সোহাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক। তার বাড়ি রাজশাহী নগরীর রাজপাড়ার তেরোখাদিয়া পশ্চিমপাড়ায়।

গত বুধবার রাত তিনটার সময় র্যাব পরিচয়ে ১৫ জনের একটি দল সাদা মাইক্রোবাসে এসে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু র্যাব ঘটনা অস্বীকার করে বলেছে তারা এ ধরনের কোনো ঘটনা জানেন না। সোহাগের সঙ্গে তার ৮০ হাজার টাকার ক্যামেরা, ল্যাপটপ ও তার স্ত্রীর গহনাও নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় সোহাগের বাবা নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন।

রাশেদ রিন্টু/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।