ঈদে বাড়ি ফিরতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাস চান জবি শিক্ষার্থীরা
কঠোর লকডাউনে রাজধানীতে আটকে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বাস সার্ভিসের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক, ট্রেজারার ড. কামালউদ্দিন আহমদ ও প্রক্টর মোস্তফা কামালের কাছে এ বিষয়ে স্মারকলিপি পাঠান।
তারা বলেন, করোনা মহামারির জন্য লকডাউন আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই লকডাউন ঈদ পর্যন্ত থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এম অবস্থায় ঢাকা থেকে অন্যান্য জেলায় যাওয়ার জন্য কোনো দূরপাল্লার বাস যোগাযোগের ব্যবস্থা নেই। ঢাকায় আটকে থাকা আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আবাসিক হল না থাকায় ঈদের আগে আমাদের ভ্যাকসিন পাওয়ারও সম্ভাবনা দেখছি না। এতে করে করোনার মধ্যে ঢাকায় অবস্থান করাটা আমাদের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে পড়েছে।
এসব কারণে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রশাসনের কাছে এই লকডাউনে আসন্ন ঈদুল আজহার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনে ঢাকায় আটকে থাকা শিক্ষার্থীদের যার যার বিভাগীয় শহরে নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যদি বাসের জন্য দাবি করে, বাস দেয়া যাবে। তারা পরিবারের সাথে ঈদ করবে এটা আনন্দের। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বাসগুলো চলে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায়। চালকরা হাইওয়েতে দীর্ঘক্ষণ গাড়ি চালাতেও অভ্যস্ত নয়। বাসে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ভার নিতে হবে। একটা বাসে ৪০-৫০ জন শিক্ষার্থী থাকবে। হাইওয়েতে অনভিজ্ঞ চালকদের হাতে আমরা তাদের তুলে দিতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও সীমান্ত পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে করোনার সংক্রমণ খুবই বেশি। সেখানকার হাসপাতালগুলোতে রোগী ধারণের ঠাঁই নেই। বাড়িতে গিয়ে কোনো শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হলে আমাদের কিছু করার থাকবে না। ঢাকায় থাকলে আমরা তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারব। এছাড়া তাদের বাড়িতে পরিবারের বৃদ্ধ সদস্যরা রয়েছেন। তাদের কথা চিন্তা করে হলেও এই ঈদে ঢাকায় থাকা উচিত। করোনা সংক্রমণ রোধে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আরও সচেতন হতে হবে। এরপরও যদি তারা বাস চায়, আমরা করোনা সংক্রমণের হার কম ওই এলাকাগুলোতে বাস সার্ভিস দেয়ার ব্যাপারে আলোচনা করব।’
এসএস/এমকেএইচ