ঢাবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে সেক্রেটারি লাঞ্ছিত


প্রকাশিত: ১০:৫০ এএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এসময় হলের তিনটি রুম ভাঙচুর করে ছাত্রলীগের উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা। বিষয়টি মীমাংসা করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স। সংঘর্ষের সময় উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র দেখা গেছে।  

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হলে প্রথমবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের হলে তোলাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ বাঁধে। এক ছাত্রকে তোলা-না তোলা নিয়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক উভয় গ্রুপে বাগবিতণ্ডার সূত্রপাত হয়। এক পার্যয়ে তাদের এ  বাগবিতণ্ডা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এসময় বিষয়টি হল শাখার সহ-সভাপতি জায়েদুল জলিল মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের কর্মীরা তার উপর চড়াও হয়। জলিল তাদের থামানোর চেষ্টা করেন।

এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স ঘটনাস্থলে গিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করেন। এসময় জলিল তার উপর চড়াও হন। এতে ক্ষুব্ধ প্রিন্স জলিলকে প্রকাশ্যে মারধর করতে থাকেন। মারধরের এক পর্যায়ে জলিল ঘটনাস্থল ত্যাগ করে হলের ভেতরে চলে যান। এরই জের ধরে হলের ১০৯, ১১০ এবং ২২৭ নং রুম ভাঙচুর করে হল শাখা ছাত্রলীগের উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা। পরে হল কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রসঙ্গত, প্রিন্স ওই হলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সস্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় ওই হলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেন বনী আমিন মোল্লাকে। আর জায়েদুল জলিল হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনের অনুসারী।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পর আমি গিয়ে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের চড়, থাপ্পড়, লাথি দিয়ে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি। এক পর্যায়ে আমাদের সভাপতি আবিদ আল হাসান ভাইসহ গিয়ে উভয় গ্রুপকে নিবৃত করি। এসয় তারা তার উপর চড়াও হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

তিনি জানান, যারা হলে বিশৃঙ্খলা তৈরি চেষ্টা করেছে তাদের বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। একইসাথে সাংগঠনিকভাবে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগের বিষয়গুলোরও সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, এ বিষয়ে রাত ৮টায় একটি বৈঠক করা হবে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

এমএইচ/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।