রাবির তিন শিক্ষককে হত্যার হুমকি


প্রকাশিত: ০১:৪৭ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০১৫

সর্বহারা পার্টির সদস্য পরিচয়ে একই মুঠোফোন (০১৬২৫২৯৩২০১) নম্বর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তিন শিক্ষককে টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার পৌনে ৮টার দিকে তাদের এ হুমকি দেয়া হয়।

হুমকির শিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাশেম ও ইতিহাস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোহাম্মদ শাফি ও অধ্যাপক মো. মাহবুবর রহমান। অধ্যাপক মাহবুবর রহমানের স্ত্রী তাহদিনা নাজনীনকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।

অধ্যাপক আবুল কাশেম জাগো নিউজকে জানান, শুক্রবার রাতে একটি অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে কল আসে। এ সময় আমাকে জিজ্ঞেস করা হয় আমি বাহিরে না বাসায়। উত্তরে বলি, বাহিরে। তখন ওপাশ থেকে বলা হয়, বাসায় যান আমরা আসছি। এ সময় তার পরিচয় জানতে চাইলে সে বলে `আমি সর্বহারা পার্টির রনজিৎ`। এরপর কিছু না বলে সে ফোন কেটে দেয়।
তবে এই ঘটনায় তিনি এখনো থানায় জিডি করেননি বলে জানান।
 
ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মো. মাহবুবর রহমান জাগো নিউজকে জানান, আমাকে প্রত্যেক মাসেই এইভাবে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়। এতে ভয় পেলে তো চলবে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ বিষয়টি জানিয়েছেন কি না জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেন, এগুলোর জন্য কাকে কী বলবো ? এজন্য আমি কোন থানায় জিডিও করবো না।

ইতিহাস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোহাম্মদ শাফি জানান, শুক্রবার রাতে একটি নম্বর থেকে আমাকে বলা হয়, আপনি বাসায় না বাহিরে ? তখন আমি বলি, বাসায়। তিনি বলেন, থাকেন আমরা আসছি। এ সময় আমি বলি, আমিতো অসুস্থ, তাই আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারবো না।

তিনি বলেন, তাহলে আমাদের টাকা দেন। আমাদের ছেলেরা ভারত ও দেশে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর জন্য বিপুল পরিমাণে টাকা দরকার। তখন আমি বলি, আমি আবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। আমার কাছে তেমন টাকা নেই। আমি টাকা দিতে পারবো না। এতে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, ঠিক আছে, পরে নিজের বা আপনার সন্তানদের কিছু হলে আমরা দায়ী হবো না। এ সময় তার পরিচয় জানতে চাইতে তিনি বলেন, আমি সর্বহারা পার্টির কমরেড মতিন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান জানান, এ বিষয়ে এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনকে কিছু জানানো হয়নি।

রাশেদ রিন্টু/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।