বেরোবি উপাচার্যের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর অনিয়ম-দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে অধিকার সুরক্ষা পরিষদ নামের একটি সংগঠন।
শনিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ৭৯০ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র (প্রথমখণ্ড) প্রকাশ করা হয়। এই সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান।
সম্মেলনের শুরুতে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক মতিউর রহমান বলেন, ‘আমরা বেরোবি উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার শ্বেতপত্রের প্রথমখণ্ড প্রকাশ করছি। তিনি ঢাকার লিয়াজোঁ অফিসে বসে একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, জালিয়াতি, ভর্তি বাণিজ্য, হয়রানি, নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছেন’।
মতিউর রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের উপ-উপাচার্য ড. আবুল কাশেম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাবের হোসেন চৌধুরী, সুচিত্রা সেন এবং উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ তানভীর আবির প্রশিক্ষণ ও মিটিংয়ের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. হাসিবুর রশীদও এসব অনিয়মে যুক্ত রয়েছেন।
এই লিখিত বক্তব্যে উপাচার্যের আদালত অবমাননা, ঢাকাস্থ লিয়াজোঁ অফিসে অনিয়ম, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণে অনিয়ম, ধারাবাহিক অনুপস্থিতিসহ ১১১টি অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরা হয়।
এদিকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়েন শিক্ষকরা। লিখিত বক্তব্যে ভিসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের কথা উঠে আসলেও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা, সেশনজট, শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকটসহ শিক্ষার্থীদের দুর্দশার কথা- তারা কেন বলছেন না প্রশ্ন করা হলে তারা এর সদুত্তর দিতে পারেননি।
জিতু কবীর/এসএমএম/এমকেএইচ