চারলেন সড়কে ভাঙা পড়তে পারে রাবির মেইন গেট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের ঢাকা-রাজশাহী সড়কটি চার লেনে উন্নীত হচ্ছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) পরিকল্পনা অনুযায়ী সড়ক প্রশস্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের খানিকটা জায়গা দরকার হবে। একই সঙ্গে ভাঙা পড়তে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটও। তবে ক্ষতিপূরণের ব্যাপারটি এখনো নিশ্চিত করেনি রাসিক কর্তৃপক্ষ।
সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফায় নগরীর তালাইমারি থেকে বানেশ্বর পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে। গত ৪ মার্চ নির্মাণ কাজের দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। আগামী ৪ এপ্রিল টেন্ডার ড্রপ হবে। আগামী দেড় মাসের মধ্যে শুরু হতে পারে প্রকল্পটির কাজ।
এদিকে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের ৩০ ফুটের প্রশস্ত সড়কটি চারলেনে উন্নীত করতে ৮০ ফুট প্রশস্ত করা হবে। সড়কের দুই পাশে ১০ ফুট চওড়া ফুটপাত ও দক্ষিণ পাশে সাড়ে সাত ফুট চওড়া হবে ড্রেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬ থেকে ৮ ফিট জায়গা প্রয়োজন হবে সড়কটিতে। জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে এই মর্মে এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠিও দেয়া হয়েছে। তবে ঠিক কতটুকু জায়গা যাবে সেটি নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না কেউই।
এর আগে প্রথম দফায় নগরীর আলুপট্টি থেকে তালাইমারি পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কের চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষতিপূরণ বর্তমান প্রকল্পের মধ্যে ধরা নেই। রাজশাহী কলেজ ও ফল গবেষণা কেন্দ্র থেকে কিছু জমি আমরা নিয়েছি। সেটি পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে। জনস্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও কিছুটা আমরা প্রত্যাশা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিপিপিতে যতদূর জানি ক্ষতিপূরণের ব্যাপারটি ধরা নেই। যদি থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিপূরণ দিতে পারব। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে খুব দ্রুতই বসা হবে।’
এদিকে, মেইন গেট ভাঙা পড়বে কিনা সে ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদেরকে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এখনো জানায়নি ঠিক কতটুকু জায়গা তাদের দরকার হবে। তবে প্রশাসনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। যদি ফটক ভাঙার প্রয়োজন হয় তাহলে নতুন করে অবশ্যই ফটক নির্মাণের প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে মূল সড়ক থেকে ২০ থেকে ৩০ ফুট ভেতরে ফটকটি তৈরি করতে হবে। এই প্রস্তুতি এখনই নেয়া প্রয়োজন।’
সালমান শাকিল/এসজে/জিকেএস