২১৫ প্রজাতির পাখির আবাসস্থল চবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৫:৩৭ পিএম, ০৪ মার্চ ২০২১

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২১৫ প্রজাতির পাখি রয়েছে। এসব প্রজাতির পাখি ছাড়াও ১৭ প্রজাতির ব্যাঙ, ৫৬ প্রজাতির সরীসৃপ ও ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ীর আবাসস্থল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

বন মোরগ, মথুরা, সবুজ তাউরা, কাঠ শালিক, রেড হেডেড, ভিমরাজ, হাঁড়িচাচা, কাবাসি, চন্দনা টিয়া, মদন টিয়া, কানাকুয়া, শিসধামা, হলদে বক, মালকোহা, পাকড়া মাছরাঙা, বসন্ত বাউরি, রুপাস নেকড, বেনেবউ এবং মৌটুসিসহ ২১৫ প্রজাতির পাখির আবাসস্থল এই ক্যাম্পাস।

২১৫ প্রজাতির পাখির মধ্যে ১০৮টি গায়ক ও ১০৭টি অগায়ক পাখি রয়েছে। পাখিগুলোর মধ্যে ১৬০ প্রজাতির পাখির স্থায়ী নিবাস চবি ক্যাম্পাস। ৫১ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি হিসেবে বিভিন্ন মৌসুমে ক্যাম্পাসে আসে। বাকি চার প্রজাতির পাখি মাঝেমধ্যে পাওয়া যায় এখানে। এছাড়া বন্যশূকর, সজারু, বনরুই, মায়া হরিণ, বিভিন্ন প্রজাতির সাপসহ অন্যান্য প্রাণীর দেখা মেলে এ ক্যাম্পাসে।

বুধবার (৩ মার্চ) চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের আয়োজনে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস-২০২১ উদযাপন অনুষ্ঠানে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন বন্যপ্রাণী গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড-২০১২ প্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. ফরিদ আহসান।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে তিনি বলেন, বন্যপ্রাণীকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে আমাদের সচেতনতা সৃষ্টি, বাসস্থান বিলুপ্তি, অতি আহরণ, দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কাজ করতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর এক সম্মেলনে ৩ মার্চকে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালের ৩ মার্চ থেকে প্রতিবছর নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করে আসছে চিটাগং ইউনিভার্সিটি বার্ড ক্লাব।

এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।