বর্ধিত ফি প্রত্যাহারে উপাচার্যকে প্রগতিশীলদের স্মারকলিপি


প্রকাশিত: ১০:৪২ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড নবায়নে বর্ধিত ফি প্রত্যাহারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে স্মারকলিপি দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।

মঙ্গলবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনন্থ উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে উপাচার্যের হাতে এ স্মারকলিপি তুলে দেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতারা। এসময় তারা ফি প্রত্যাহারে বিভিন্ন যুক্তি উপাচার্যের কাছে তুলে ধরেন। একই সঙ্গে বর্ধিত ফি প্রত্যাহারে বিশ্ববিদ্যালয়কে ৭ দিনের সময় বেধে দেন প্রগতিশীল নেতারা।

নেতারা বলেন, ‘এক বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই নীতি কীভাবে হয়? এখানকার অন্যান্য হলগুলোতে যেখানে দিতে হয় মাত্র সাড়ে তিন’শ টাকা থেকে সাড়ে চার’শ টাকা সেখানে বিজয় একাত্তর হলে কেন এতো বেশি। এটি তো কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কি কৌশলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বেসরকারিকরণ করতে চায়। এ লক্ষ্যে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আয়বৃদ্ধির উপর জোর দেয় এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার প্রস্তাব দেয়।’

এই ফি নির্ধারণের প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্রজোট স্মারকলিপিতে কয়েকটি দাবি তুলে ধরে। দাবিগুলো হলো- আগামী ৭ দিনের মধ্যে ৩ হাজার ৬০০ টাকার অযৌক্তিক ফি প্রত্যাহার করতে হবে, হল অভ্যন্তরে খেলার মাঠটি ছাত্রদের জন্যে উন্মুক্ত করতে হবে, হল লাইব্রেরি চালু করতে হবে, বিশেষায়িত হল স্থাপনের যাবতীয় প্রশাসনিক তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি লিটন নন্দী, সাধারণ সম্পাদক তুহিন কান্তি দাস, ছাত্র ফেডারেশন ঢাবি শাখা সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজীর, সাধারণ সম্পাদক তাহসীন মাহমুদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইভা মজুমদার প্রমুখ।

এমএইচ/একে/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।