ডুজার কাছে ঢাবি প্রশাসনের প্রত্যাশা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৮:৫৬ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অনলাইন মিটিং প্ল্যাটফর্ম জুমে আয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তারা পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) সভাপতি রায়হানুল ইসলাম আবির ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেনসহ সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি, আমাদের কাজের মধ্যদিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। এজন্য যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে আছে, তাদের ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তেমনিভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যদেরও একটা দায়িত্ব রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রের উত্তরণ ঘটেছে। এতে সাংবাদিকদের অসামান্য ভূমিকা রয়েছে। নানা জুলুম, হুমকি, মৃত্যুভয় তুচ্ছ করে তারা তখন কাজ করেছে। জাতীয় পর্যায়ের এসব সাংবাদিকই এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। এখনো বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সমিতির সদস্যরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কাজেই, আমরা চাইব তারা বস্তুনিষ্ট তথ্য তুলে ধরুক। আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি হলেও সেটা সুন্দরভাবে তারা তুলে ধরবে।’

DU-(2).jpg

‘রাষ্ট্রের প্রধান, সরকারপ্রধান থেকে মন্ত্রী, সচিবদের বিষয় যেখানে সাংবাদিকরা তুলে ধরে, সেখানে আমাদের কোনো ভুল বা অনিয়ম থাকলে সেটাও তারা তুলে ধরবে। তাহলে সেটা থেকে আমরা সতর্ক হব’, বলেন ঢাবি উপ-উপাচার্য।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘অনেক সময় আমরা সমস্যায় পড়ি। কোনো কোনো শ্রদ্ধেয় সহকর্মী অভিজ্ঞতা বা তথ্যের অভাবে এমন কিছু কথা বলে ফেলে বা এমন কিছু আচরণ করে বসে, যার জন্য আমাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘একজন সজ্জনের বৈশিষ্ট্য হলো সে বিকৃত রুচির মানুষ নয়। কোথাও কোনো ব্যত্যয় ঘটলে বা ঘাটতি নজরে আসলে সেটাকে কীভাবে পরিশীলিত রূপ দেয়া যায়, সে চেষ্টা করতে হবে। তা না করে অন্যকে অসম্মানিত করার দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে সেটা পরিহার করতে হবে। অন্যকে ঘায়েল করার জন্য নিউজ পাঠানো, কল দিয়ে নিউজ করানো ভালো মূল্যবোধের পরিচয় হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অন্য কমিউনিটির লোকজন এটা করে। এসব বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াচডগের ভূমিকা পালন করছ। তোমাদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অন্য ধরনের। কারণ, তোমরা সামগ্রিকভাবে জাতীয় পর্যায়ে আমাদের সম্মান তুলে ধরো।’

আল-সাদী ভূঁইয়া/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।