সুনশান নীরব ঢাবিতে সরব শিশুরা
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি মোকাবিলায় মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে ক্যাম্পাসে বহিরাগত ও যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। টিএসসির রোকেয়া হলের সামনে থেকে নীলক্ষেত এবং ফুলার রোডে উদয়ন স্কুলের সামনের রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ক্যাম্পাসে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের হোস্টেলগুলো শিক্ষার্থী শূন্য। ক্যাম্পাসে বসবাসকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছাড়া সচরাচর কেউ প্রবেশ করে না। তাই অধিকাংশ সময়ই ক্যাম্পাস ফাঁকা পড়ে থাকে।
দিনভর ফাঁকা পড়ে থাকলেও বিকেলে শিশুদের কলরবে ক্যাম্পাস মুখরিত হয়ে উঠে। ফাঁকা রাস্তায় দলবেঁধে কেউ ফুটবল খেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে, কেউ সাতচারা কিংবা ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা, সাইকেল চালিয়ে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। তাদের কারণে নীরব ক্যাম্পাস বিকেলে সরব হয়ে উঠে। অভিভাবকরা বিকেলে হাঁটতে বেরিয়ে পড়েন।
ছুটির দিনে এফ রহমান হলের সামনের রাস্তায় একদল শিশুকে ফুটবল খেলতে দেখা যায়। অদূরেই আরও কয়েকটি শিশুকে সাতচারা ও টেনিস বল দিয়ে খেলতে দেখা গেছে। ফুলার রোডে একদল শিশু প্রতিযোগিতা করে সাইকেল চালিয়ে বেড়াচ্ছে। ক্যাম্পাসে অধিকাংশ নারী, পুরুষ ও শিশুকে মুখে মাস্ক পরে ঘুরছে।
তবে ক্যাম্পাসের মধ্যে টিএসসিতে দিনকে দিন ভিড় বাড়ছে। আজ ছুটির দিনের শেষ বিকেলে টিএসসি ও এর আশপাশে আগের মতোই অসংখ্য মানুষকে দলবেঁধে আড্ডা মারতে দেখা যায়। বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে চটপটি, মুড়ি কিংবা আইসক্রিম খেতে খেতে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্যও চোখে পড়ে। তাদের অনেককেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।
এমইউ/এমআরএম/পিআর