অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি নিয়ে বিপাকে রাবির বিভাগগুলো

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০২:১৩ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২০

অনলাইন ক্লাসের জন্য আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি নিয়ে উভয় সঙ্কটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভাগগুলো। বিভাগ ও শিক্ষার্থীদের যোগাযোগে দূরত্ব, শিক্ষার্থী সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য না থাকাসহ নানা কারণে এক রকম অন্ধকারে তৈরি হচ্ছে এই তালিকা। এতে প্রকৃত অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন বলে শঙ্কা করছেন শিক্ষকরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি ফজলুল হক বলেন, বিভাগগুলোতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়। যারা আবেদন করেছেন তাদের তালিকা করে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখানে কে সচ্ছল বা কে অসচ্ছল সেটি প্রমাণ করতে পারিনি।

তালিকা তৈরি নিয়ে অন্ধকারে আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমাদের এই সময়ে যোগযোগ নেই। প্রকৃত অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা যেন বঞ্চিত না হয়।

একই সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন বলেন, সচ্ছল এবং অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি নিয়ে উভয় সঙ্কটে পড়তে হচ্ছে।

পাঁচটি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফরমে কোথাও পারিবারিক অবস্থার কথা উল্লেখ নেই। এমনকি সেখানে পারিবারিক আয়ের পরিমাণ জানার মতো কোনো তথ্য নেই বিভাগুলোর কাছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগের জন্যও পর্যাপ্ত তথ্য নেই। আর অর্থনৈতিক সহযোগিতার কথা শুনে সচ্ছলদের আবেদন করার ঘটনাও ঘটতে পারে। সে কারণে অসচ্ছল শিক্ষার্থী বের করা খুব মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। ক্লাস ক্যাপ্টেনদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে একটি তালিকা তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ৬ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞাপ্তিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা চাওয়া হয়৷

সে অনুযায়ী গত ১০ আগস্ট বিভাগ, ইনস্টিটিউটগুলোর কাছে তালিকা চায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয়ের একাডেমিক শাখা। সেখানে ১৮ আগস্টের মধ্যে একাডেমিক শাখায় তালিকা জমা দেয়ার অনুরোধ করা হয়।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনও সবগুলো বিভাগ সেই তালিকা একাডেমিক শাখায় পাঠায়নি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার এ এইচ এম আসলাম হোসেন বলেন, আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে এই তালিকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে পাঠাতে হবে। সে জন্য আমরা একটা তারিখ দিয়েছি। অনেকে দুই একদিন সময় চেয়েছে। তালিকা তৈরি হলে আমরা পাঠিয়ে দেবো।

তালিকা তৈরির বিড়ম্বনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকে অসচ্ছল হলেও সামাজিক মর্যাদার কারণে বলছেন না। আবার কেউ কেউ সচ্ছল হলেও তালিকায় নাম দিচ্ছেন। সেজন্য অসচ্ছল বের করা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন তারা৷

আসলাম হোসেন বলেন, ইউজিসি তালিকা চেয়েছে আমরা তালিকা পাঠিয়ে দেবো। কে পাবে বা পাবে না তারা নির্ধারণ করবে।

সালমান শাকিল/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।